কারণ ছাড়াই বাড়ছে ওয়াটা কেমিক্যালসের দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওয়াটা কেমিক্যালস লিমিটেডের শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিক বেড়েছে। এর পেছনে কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে ডিএসইকে জানিয়েছে কোম্পানিটি। 

বাজার তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২৩ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় ১২৪ টাকা ১০ পয়সা। ২৭ জুন শেয়ারদর দাঁড়ায় ১৫১ টাকায়। সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়ায় ১৫৪ টাকায়। 

চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৯৬ পয়সা।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়াটা কেমিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ টাকা ৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৫১ পয়সায়।

২০২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ করেছিল কোম্পানিটির পর্ষদ। ২০২১ হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়াটা কেমিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬ টাকা ১৪, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ২২ পয়সায়।

২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য মোট ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়াটা কেমিক্যালসের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদের পাশাপাশি ৩০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ওয়াটা কেমিক্যালস। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক এবং ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৮ মাসে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। 

১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৪ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৪৮ লাখ ২২ হাজার ৬১৮টি শেয়ারের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৪১ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ৭৯ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৫০ দশমিক ৮৩, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১১৪ দশমিক ৩৬।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন