ইয়াকিন পলিমারের দুই কোটি শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২ কোটি ৬ লাখ ৩২ হাজার ৩৩০ শেয়ার হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে ডিএসইর ট্রেডিং সিস্টেমের বাইরে এ শেয়ার উপহার হিসেবে হস্তান্তর করবেন তারা। গতকাল ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, ইয়াকিন পলিমারের উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ক্যাপিটা প্যাকেজিং সলিউশনস লিমিটেড, চাকলাদার রেজাউনুল আলম, মোহাম্মদ হারুনর রশিদ ও দিদারুল আলমের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কোম্পানিটির করপোরেট উদ্যোক্তা সাতক্ষীরা ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৬ শেয়ার, পরিচালক এসএম আকতার কবিরের ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৫ ও উদ্যোক্তা কাজী এমদাদুল হকের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৯টি শেয়ার ক্যাপিটা প্যাকেজিং সলিউশনস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিচালক কাজী আনোয়ারুল হকের ২৭ লাখ ২৩ হাজার ১০৮ শেয়ার ও করপোরেট পরিচালক ইয়াকিন এগ্রো প্রডাক্টস লিমিটেডের ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৩৯ শেয়ার চাকলাদার রেজাউনুল আলমকে হস্তান্তর করা হবে। উদ্যোক্তা জুলিয়া পারভীনের ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৫ শেয়ার, উদ্যোক্তা মালিহা পারভীনের ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৬ ও উদ্যোক্তা সাবরিনা সামসাদের ৩৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭১ শেয়ার মোহাম্মদ হারুনর রশিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া এসকে জামিল হোসেনের ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪৮১ শেয়ার নেবেন দিদারুল আলম।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেয়েছিল ইয়াকিন পলিমার। 

আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) ইয়াকিন পলিমারের শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৮০ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ১৭ পয়সা। গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩৫ পয়সায়। 

লোকসানের কারণে সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি ইয়াকিন পলিমারের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন ২০২২ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৬ টাকা ১৬ পয়সায়। 

সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্যও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ইপিএস ছিল ১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১১ টাকা ১২ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১১ টাকা ৭৪ পয়সা।

২০১৯-২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ইয়াকিন পলিমার। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ১ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১৫ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ইয়াকিন পলিমার। আগের হিসাব বছরে ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইয়াকিন পলিমারের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৭৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৭। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ৫২ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫০ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

ডিএসইতে গতকাল ইয়াকিন পলিমারের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১৬ টাকা ১০ থেকে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন