![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_388244_1.jpg?t=1719466078)
প্রায় এক শতাব্দী ধরে ভারতের রুপালি পর্দাকে শাসন করছে বলিউড। চলচ্চিত্র শিল্পে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে হিন্দিভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য। এমন দাপটে অনিবার্যভাবেই অগ্রাধিকার পেয়েছেন বলিউড অভিনেতারা। ভারতের অন্য অঞ্চলের তারকাদের তুলনায় তারা বেশি পারিশ্রমিক পান। তবে গত কয়েক বছর সে প্রবণতা ভাঙতে শুরু করেছে। বাহুবলী, আরআরআর, পুষ্পা ও অর্জুন রেড্ডির মতো সিনেমার সফলতাই প্রমাণ করে সে একমুখী আধিপত্য কমতে শুরু করেছে। অভিনব স্ক্রিপ্ট ও অ্যাকশনের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণী জোয়ার। বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেতাদের মধ্যে দক্ষিণী অভিনেতাদের দাপট চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি আইএমডিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেতাদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। সেখানে উঠে এসেছে বলিউড ও দক্ষিণী অভিনেতাদের মিশেল। গোড়ার দিকেই রয়েছেন সালমান খান, আমির খান, আল্লু অর্জুন, অক্ষয় কুমার, রজনীকান্ত।
শাহরুখ খানের বর্তমান সম্পদ ৬ হাজার ৩০০ কোটি রুপি। বলিউড বাদশাহ নামে সমধিক পরিচিত শাহরুখের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সফলতা নব্বইয়ের দশক থেকেই। নামের পাশে ফ্লপ ছবি যে নেই, তা নয়। কিন্তু সম্প্রতি ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ দুটি সিনেমাই দুই হাজার কোটি রুপির বেশি আয় করেছে। সর্বশেষ সিনেমা ‘ডাঙ্কি’ও ভালো করেছে। সংক্ষিপ্ত বিরতির পর তিনি পুনরায় দখল করেছেন বলিউডের মসনদ। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা তিনি। সম্পদের হিসাবে শাহরুখের পরেই রয়েছেন সালমান খান। ভাইজানের সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৯০০ কোটি রুপি। সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার থ্রি’ ৪৬৬ কোটি ৬৩ লাখ রুপি আয় করেছে বিশ্বব্যাপী। এদিকে অক্ষয় কুমারের সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপি। ‘ওএমজি টু’ সিনেমায় তাকে গেস্ট হিসেবে দেখা যায়, সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ২২১ কোটি রুপি আয় করে। মিস্টার পারফেকশনিস্ট নামে খ্যাত আমির খানের সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৮৬২ কোটি রুপি। যদিও তার ‘লাল সিং চাড্ডা’ খুব বেশি ভালো করতে পারেনি। তবে ‘দঙ্গল’ ও ‘পিকে’ দিয়ে তিনি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ফের তা প্রমাণ করবেন বলেই আশা করছে ভক্তরা।
দক্ষিণী
অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের সম্পদ ৪৭৪ কোটি রুপি। দুই দশক ধরে বিস্তৃত ক্যারিয়ার নিয়ে এ তারকা এখনো
এগিয়ে চলছেন সামনে। ২০২৩ সালের ‘ভারিসু’ ও
‘লিও’ বিশ্বব্যাপী
আয় করেছে যথাক্রমে ৩০০ ও ৬১২ কোটি
রুপি। লিও ছিল বছরের সবচেয় বেশি আয় করা তামিল
সিনেমা। বিজয়ের পর তালিকায় রয়েছেন
তামিল অভিনেতা রজনীকান্ত। দক্ষিণ ভারতের সর্বত্র সম্মানিত এ অভিনেতার সম্পদের
পরিমাণ আনুমানিক ৪৩০ কোটি রুপি। তার সর্বশেষ সিনেমা জেলারের মাধ্যমে তিনি আয় করেছেন ১১০
কোটি রুপি। এদিকে আল্লু অর্জুনের সম্পদ ৩৫০ কোটি রুপি। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমার
মধ্য দিয়ে তিনি ক্যারিয়ারের মাইলফলক অতিক্রম করেছেন। সিনেমাটির সিকুয়াল শিগগিরই আসতে যাচ্ছে।
তালিকায় পরবর্তী সময়ে থাকা প্রভাসের সম্পদের পরিমাণ ২৪১ কোটি রুপি। বাহুবলী ফিল্ম সিরিজের মধ্য দিয়ে তিনি সামনে আসেন। ‘আদিপুরুষ’ আশানুরূপ ভালো না করলেও ‘সালার’-এর আয় ছিল ৩৬৯ কোটি ৩৭ লাখ রুপি। আরেক দক্ষিণী তারকা অজিত কুমারের সম্পদের পরিমাণ ১৯৬ কোটি রুপি। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘থুনিভু’ সিনেমা কেবল ভারতেই আয় করেছে ১৩০ কোটি রুপি। এদিকে কামাল হাসানের সম্পদের পরিমাণ ১৫০ কোটি রুপি। দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করা এ তারকার পরবর্তী সিনেমা মনিরত্নম পরিচালিত ‘কেএইচ ২৩৪’।
ভারতের সম্পদশালী অভিনেতার তালিকায় দশজনের মধ্যে ছয়জনই দক্ষিণের। বিষয়টিকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের বাঁক বদল মনে করছেন সিনেবোদ্ধারা। এদিকে বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে সম্পদশালী তারকা টেইলর পেরি। তার সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস