![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_388240_1.jpg?t=1719462650)
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন যেকোনো সময় চুরি বা হারিয়ে যেতে পারে। এ ধরনের ঘটনার পর ডিভাইসের অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য গুগলের ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ বেশ কার্যকর। মূলত ফাইন্ড মাই ডিভাইস গুগলের একটি ফ্রি পরিষেবা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনের লোকেশন খুঁজে পেতে, দূর থেকে ডিভাইস লক করতে বা প্রয়োজনে সব ডাটা মুছে ফেলতে পারেন। তবে কীভাবে এ ফিচার চালু ও ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে অনেক ব্যবহারকারীই অবগত নন। টেক জায়ান্ট গুগল সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ অ্যাপ কার্যকরভাবে সেট আপ ও ব্যবহারের একটি সহজ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ ভার্সন থেকে ওপরের যেকোনো ভার্সনে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কাজ করবে। সেখানে শুধু লোকেশন সার্ভিস চালু থাকতে হবে। এর সঙ্গে ডিভাইসটি অবশ্যই একটি গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। ব্যবহারকারীরা অ্যান্ড্রয়েডের সেটিংস অপশন থেকে ফাইন্ড মাই ডিভাইস চালু করতে পারবেন। অ্যাপটির সর্বোত্তম কার্যকারিতার পাওয়ার জন্য একটি সক্রিয় ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলার অনুমতি দিতে হবে।
যদি কোনো কারণে ডিভাইস হারিয়ে যায় সেটি খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীকে ফাইন্ড মাই ডিভাইস ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে অ্যাপটি ব্যবহার করে লিঙ্ক করা গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এরপর অ্যাপটি হারিয়ে যাওয়া ডিভাইসটির অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করবে।
ডিভাইসের অবস্থান শনাক্তের পর ব্যবহারকারীরা তিন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবেন। প্রথমে ডিভাইসটি যদি সাইলেন্ট মোডে সেট করা থাকে, তাহলেও টানা পাঁচ মিনিটের জন্য পূর্ণ ভলিউমে রিং চালু যেতে পারে। ফিচারটি কাছাকাছি হারিয়ে যাওয়া ফোনগুলোর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। কিন্তু যদি ডিভাইস দূরে থাকে সেক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা রিমোর্ট লক করতে পারেন। এছাড়া ব্যবহারকারী চাইলে হারানো ডিভাইসের সব ডাটা মুছে ফেলার অপশন বেছে নিতে পারেন।
গুগলের গাইডলাইন অনুসারে, অ্যাপটি ডিভাইসের ব্যাটারি লেভেল ও নেটওয়ার্ক সংযোগ সম্পর্কে রিয়েল-টাইম তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এ ডাটা ব্যবহারকারীকে হারিয়ে যাওয়া ডিভাইস কী অবস্থায় রয়েছে সে সম্পর্কে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
গাইডলাইনে সব ডিভাইসে ফাইন্ড মাই অ্যাপ চালু রাখা, অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ডিভাইস অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ রাখা, লোকেশন পারমিশন দিয়ে সার্ভিস চালু রাখাসহ আরো কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে গুগল।