আমদানির পরও হিলিতে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কাঁচামরিচ আনলোড করছেন শ্রমিকরা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশের বাজারে কয়েক দফা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। দাম নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ মে ভারত থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। ছয় মাস বন্ধের পর আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে দাম কিছুটা কমেছিল। তবে ঈদুল আজহার ছুটির কারণে আটদিন বন্ধ থাকায় খুচরা বাজারে দাম বেড়ে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয় ২০০ টাকায়। ২২ জুন বন্দর দিয়ে আবারো আমদানি শুরু হলে দাম কিছু কমতে থাকে। তবে দুদিনের ব্যবধানে বাড়তে শুরু করেছে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম। ঈদের ছুটির পর আমদানি শুরুর দিন থেকেই বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়।

হঠাৎ করে আবারো দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বন্দরে কাঁচামরিচ কিনতে আসা পাইকাররা। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতের বাজারেই দাম বাড়তি। সে তুলনায় দেশের বাজারে দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম স্বাভাবিক রাখতে ২৩ মে ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ওইদিনই শুরু করে এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঈদের ছুটির কারণে আটদিন বন্ধের পর ২২ জুন থেকে আবারো আমদানি শুরু হয়েছে। তবে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ভারতের বাজারেই কাঁচামরিচের দাম বেশি। আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০ রুপি হলেও বর্তমানে কিনতে হচ্ছে ৮০-৮৫ রুপিতে। এ কারণে আমাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এর পরও আমরা চাহিদা অনুযায়ী কাঁচামরিচ পাচ্ছি না ভারতের মোকাম থেকে। সেই সঙ্গে কেজিপ্রতি শুল্ক রয়েছে ৩৫ টাকার ওপরে। পরিবহন খরচসহ সবকিছু মিলিয়ে বন্দরে এসে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১৪০-১৪৫ টাকার মতো পড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় দেশের বাজারে দাম পাওয়া যাচ্ছে না। ঈদের পর বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হলেও চাহিদা কম ও ক্রেতা সংকটের কারণে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হয়েছিল।’

এ ব্যাপারে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমদানির পরিমাণটা ওঠানামা করছে। কখনো বাড়ছে আরার কখনো কমছে। বন্দর দিয়ে ২২ জুন ছয়টি ট্রাকে ৫৮ টন ৩২০ কেজি, ২৩ জুন চারটি ট্রাকে ৩০ টন ৬৮০ কেজি, ২৪ জুন পাঁচ ট্রাকে ৩৯ টন ৯৫০ কেজি ও ২৫ জুন ১০ ট্রাকে ৭৩ টন ৪৮০ কেজি মরিচ আমদানি হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন