মস্কোর শেয়ারবাজারে ডলার ও ইউরোয় লেনদেন স্থগিত

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার ও ইউরোয় লেনদেন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে মস্কো এক্সচেঞ্জ (এমওইএক্স)। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ নতুন এক নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ ঘোষণার পর বুধবার এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর আরটি।

বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম দুই মুদ্রার স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এমওইএক্স। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এ আদেশ বিদেশী মুদ্রা ও মূল্যবান ধাতুকেন্দ্রিক বাণিজ্যের পাশাপাশি রাশিয়ার বৃহত্তম পাবলিক ট্রেডিং মার্কেটে স্টক ও মানি ট্রেডিংয়ে কার্যকর হবে। তবে ডলার ও ইউরো ছাড়া অন্য সব আর্থিক মাধ্যমে লেনদেন চালু রয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, এ স্থগিতাদেশের কারণে ডেরিভেটিভস বাজার প্রভাবিত হয়নি, সেখানে যথারীতি বাণিজ্য চলছে।

বিষয়টি নিয়ে আলাদা বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে ডলার ও ইউরোয় লেনদেন অব্যাহত থাকবে। বিনিময় হার ঠিক করতে ব্যাংক অব রাশিয়া ডিজিটাল ওটিসি ট্রেডিং প্লাটফর্ম থেকে ব্যাংক রেকর্ড ও তথ্য" ব্যবহার করবে বলেও জানায় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।

রাশিয়ার ‘মূল আর্থিক অবকাঠামো’কে লক্ষ্য করে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাটি দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ। এ প্যাকেজ ঘোষণা করে অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন দাবি করেন, রাশিয়ার পুরোপুরি যুদ্ধ অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মস্কো।

জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের জন্য তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভর করে রাশিয়া। এ নির্ভরতাসহ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উপকরণ ও সরঞ্জাম সংগ্রহে তাদের অবশিষ্ট মাধ্যমগুলোর ওপর আঘাত করেছে আজকের পদক্ষেপ।’

এমওইএক্স ছাড়াও নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে দুটি সহযোগী সংস্থাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সংস্থা দুটি হলো ন্যাশনাল ক্লিয়ারিং সেন্টার (এনসিসি) ও ন্যাশনাল সেটেলমেন্ট ডিপোজিটরি (এনএসডি)।

ডলার ও ইউরোয় লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রভাব গতকাল থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমওইএক্স চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সর্বকালের সর্বোচ্চ বেসরকারি বিনিয়োগকারী নিবন্ধন করেছিল। ওই সময় প্লাটফর্মটিতে লেনদেন অংশ নেন ৪২ হাজার বিনিয়োগকারী। গত মাসে এ প্লাটফর্মে মোট ট্রেডিং হয় ১২৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন রুবল বা ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার, যা এক বছর আগের একই সময়ে ছিল ৯৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন রুবল বা ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এর আগে থেকেই সম্ভাব্য হামলার প্রতিক্রিয়া নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়ে আসছিল কিয়েভের পশ্চিমা মিত্র। তবে গত দুই বছরে একাধিক দফায় নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দৃশ্যত শক্তিশালী রয়েছে রাশিয়ার অর্থনীতি। বিকল্প বাণিজ্য রুট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করে যাচ্ছে মস্কো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন