জন্মহার কমে আসায় বয়স্কদের খাবারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে নেসলে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের কারণে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জন্য খাবার প্রস্তুত সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য কোম্পানি নেসলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উলফ মার্ক স্নাইডার। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

উলফ মার্ক স্নাইডার বলেন, ‘আপনারা দেখছেন পৃথিবীজুড়ে নিম্ন জন্মহারের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এক-দুই দশকের মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। এ কারণে বেশি বয়সী মানুষের পুষ্টির জন্য নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা তৈরি হবে। সেই জায়গায় আমাদের কাজের সুযোগ রয়েছে।’

নতুন এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন বলেও জানান মার্ক স্নাইডার। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু পণ্য নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছি, যা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর উদ্বেগের সমাধান দেবে। এর মধ্যে রয়েছে ওজন ঠিক রাখে, পেশিশক্তি বজায় রাখে, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি এড়ায় ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এমন পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ খাদ্য।’

স্বাস্থ্যসেবা গ্রুপ ফেসেনিয়াসের সাবেক এ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বয়স্কদের উপযোগী ফোর্টিফায়েড পানীয়, প্রোটিন পাউডার, ভিটামিন ও বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্টে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছে নেসলে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, গত দেড় দশকে নেসলে, ড্যানোন ও মার্সের মতো ফুড জায়ান্টরা শুধু মুদি আইটেমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কোম্পানিগুলো নিজেদের জনপ্রিয় পণ্যের বাইরে গিয়ে বিশেষায়িত পুষ্টিকর খাবার, পশুখাদ্য ও কফির মতো উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ফলে তাদের উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে।

গত বছর শিশুখাদ্য বিভাগে মোট মুনাফার ১৫ শতাংশ অর্জন করেছে নেসলে, যেখানে ফরাসি প্রতিযোগী ড্যানোনের মুনাফা ছিল ৫০ শতাংশ। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ও মেডিকেল নিউট্রিশন বিভাগে নেসলের মুনাফা ছিল ৩০ শতাংশ, যেখানে ড্যানোনের মুনাফা ছিল ২০ শতাংশ।

মার্ক স্নাইডার বলেন, ‘আমরা যে ধরনের পণ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছি, তা থেকে সরে যাচ্ছি না। অর্থাৎ ইনফ্যান্ট নিউট্রিশন বা শিশুখাদ্য ব্যবসা ধরে রাখছি। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বেশির ভাগ দেশে মধ্যবয়সী ও বয়স্কদের নিয়ে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন