ইন্ডিয়ান নারী ফুটবল লিগের সপ্তম আসরে আজ মঙ্গলবার স্পোর্টস ওড়িশার মুখোমুখি হয় ইস্ট বেঙ্গল। এই ম্যাচে চোখ ছিল বাংলোদেশের ফুটবল ভক্তদেরও। আজ ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের তারকা সানজিদার। তিনি প্রথমার্ধে আলো ছড়ালেও এই ম্যাচে ড্র করে মাঠ ছেড়েছে তার দল। ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। টেবিলের তলানির দলের কাছে হারতে হারতে বেঁচে গেছে ইস্ট বেঙ্গল। তাই এক পয়েন্ট পেয়েই হয়তো খুশি সানজিদাদের দল।
সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী সরকারের পর বাংলাদেশের
তৃতীয় নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশে লিগে অভিষেক ঘটল ২২ বছর বয়সী সানজিদার।
১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশের অষ্টম ও প্রথম নারী
হিসেবে ইস্ট বেঙ্গলে খেলছেন সানজিদা। কলকাতায় পা রাখার আগেই তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন
ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার শেখ আসলাম, মোনেম মুন্না, রুমি,
গাউসরা। ১৯৯১ সালে মুন্নারা চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন ইস্ট বেঙ্গলকে। সানজিদাও দেশের সুনাম
বয়ে আনতে চান। তিনি বলছিলেন, ‘আসলাম ভাই, মুন্না ভাইয়েরা সাফল্য নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ
থেকে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। আমি নারী দলের মধ্যে প্রথম ডাক পেয়েছি। আমার অভিষেক
হচ্ছে। আমিও সেরাটা দিয়ে সাফল্য নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’
পাশাপাশি এটাও বলেছেন, ‘আমার দল আছে ৫-৬ নম্বরে,
জাতীয় দলেরও কেউ নেই। একা মেসি কতটা করতে পারে। তারপরও নিজের ১০০-১২০ ভাগ দেয়ার চেষ্টা
করব আমি।’
সানজিদা প্রথমার্ধে দুর্দান্ত খেলেছেন বলে
বারবার বলছিলেন ধারাভাষ্যকাররা। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে তার সাপ্লাই লাইন কেটে দেয় ওড়িশা।
আর ম্যাচে এলেমেলো খেলেছে ইঙ্গ বেঙ্গল। সানজিদার দেয়া কিছু পাস কাজে লাগাতে পারেনি
তার সতীর্থরা। আবার তাকে ক্লিয়ার পাসও দেয়া যায়নি। তিনি নিজেও অনেক সময় পাসিংগুলো শতভাগ
নিখুঁত করত পারেননি। কিংবা বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের দিকে এগিয়ে গেওে শেষ পর্যন্ত
ব্যর্থ হন।
বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন খেলেন
বেঙ্গালুরুর কিকস্টার্ট এফসির হয়ে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সাবিনার দলের মুখোমুখি
হবে সানজিদার ইস্ট বেঙ্গল। সোমবার সাবিনার দল ১-৫ গোলে হেরেছে এইচওপিএসের কাছে।
৭ দলের এই লিগে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে
ওড়িশা। ইস্ট বেঙ্গল ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৬ নম্বরে। সাবিনার দল ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের
তিনে অবস্থান করছে।