বিখ্যাত ইয়েল ইউনিভার্সিটিও বর্ণবাদী!

বণিক বার্তা অনলাইন

বিশ্ব বিখ্যাত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় শ্বেতাঙ্গ ও এশীয়-আমেরিকান আবেদনকারীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করে! যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের দুই বছরের তদন্তে পাওয়া গেছে, এই আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্ডার গ্র্যাজুয়েট শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় নাগরিক অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা শ্বেতাঙ্গদের অগ্রাধিকার দিয়েছে।

প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার তৃতীয় প্রাচীনতম এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মামলা করারও হুমকি দিয়েছে বিচার বিভাগ। তবে ইয়েলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্পষ্টভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তথাকথিত ‘ইতিবাচক পদক্ষেপের’ প্রবল প্রতিপক্ষ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সমর্থিত এই কর্মসূচি অনগ্রসর সংখ্যালঘুদের সুযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করে, এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশেষ করে হিস্পানিক ও আফ্রিকান-আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধিতে জোর দেয়া হয়। 

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিচার বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট করদাতাদের তহবিল গ্রহণ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হিসেবে আবেদনকারীর জাতিগত পরিচয় বিবেচনা করার অনুমতি দেয়। ইয়েল জাতিগত পরিচয়কে ব্যবহার করে, তবে সীমিত। ইয়েল ভর্তি প্রক্রিয়ার একাধিক পদক্ষেপে জাতিগত পরিচয় ব্যবহার করে। ফলে কোনো আবেদনকারীর ভর্তির সম্ভাবনার ওপর এই প্রক্রিয়া বহুগুণ প্রভাব ফেলে। 

বিশ্ববিদ্যালয়টি এই প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। একটি বিবৃতিতে ইয়েল বলেছে, বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে চাওয়া সমস্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করতে সক্ষম হওয়ার আগেই এটি তৈরি করা হয়েছিল। বিচার বিভাগ যদি পুরোপুরি তথ্যগুলো গ্রহণ করে যথাযথভাবে বিবেচনা করতো, তাহলে বুঝতো যে, দশকের পর দশক ধরে ইয়েলের অভ্যন্তরীণ চর্চাগুলো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ীই পরিচালিত হচ্ছে। ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করা হয় এবং ‘এ ধরনের নিরর্থক, তাড়াহুড়ো অভিযোগের ভিত্তিতে’ ভর্তি প্রক্রিয়াটি পরিবর্তন করা হবে না বলেও কড়া ভাষায় জানিয়েছে দিয়েছে ইয়েল কর্তৃপক্ষ।

গত বছর একজন ফেডারেল বিচারক হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এশীয়-আমেরিকান ছাত্রদের আনা একই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন। যদিও রায়টির বিরুদ্ধে আবার আপিল করা হয়েছে।

বিবিসি অবলম্বনে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন