তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইঙ্গিত ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

মার্কিন কংগ্রেসকে দীর্ঘস্থায়ী সহায়তা বিল পাসের অনুরোধ জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী। বিবিসিকে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে গেলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। খবর বিবিসি।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল আশাবাদ ব্যক্ত করেন, মার্কিন আইন প্রণেতারা কিয়েভের জন্য ৬ হাজার ১০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা বিলের অনুমোদন দেবেন। তবে তিনি এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন যে অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্যও এই বিল পাস হতে পারে।

ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল) হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভসের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে সেদিন ইসরায়েলকে অর্থ সহায়তা প্রদানের বিষয়েও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অর্থ সহায়তা আমাদের আরো আগেই প্রয়োজন ছিল। তিনি আরো বলেন, যদি ইউক্রেনকে রক্ষা করা না যায় তবে বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন পুরো বিশ্বকেই নতুন করে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবতে হবে। তা না হলে আরো অনেক রকম সংঘাত-সংঘর্ষ তৈরি হবে, ধারাবাহিকভাবে যা বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত করবে।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে ইঙ্গিত করে ইউক্রেনের দেয়া এমন বক্তব্য নতুন নয়। গত বছর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া যদি যুদ্ধটা জিতে যায় তাহলে এটি পোল্যান্ড আক্রমণ করে বসবে যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত করবে। 

প্রসঙ্গত, রিপাবলিকান দলের ডানপন্থী বিরোধীরা কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনে সম্ভাব্য সহায়তা বন্ধ করে রেখেছেন। এই আইন প্রণেতাদের মধ্যে কয়েকজন মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য প্রথমে তহবিল পাস না করে বিদেশে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সাহায্য পাঠাতে আপত্তি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের অস্ত্র সরবরাহের ওপর প্রায় পুরোটাই নির্ভরশীল।

তাই কংগ্রেসের কয়েক মাসের অচলাবস্থা ইতোমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছে। গোলাবারুদের সরবরাহ এবং মনোবলের পতনের কারণে ইউক্রেন অনেকটাই বাধ্য হয়েছে পিছু হটতে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন