কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। ‘জলকমল’খ্যাত এ জৈব সারের দাম কম, মানও ভালো বলে জানিয়েছেন কৃষক। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ প্লান্ট চালু করা হয়েছে। প্রকল্পটি উদ্ভাবনী মেলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ল্যাব টেস্টে গুণগত মানের স্বীকৃতি মেলায় এখন বাণিজ্যিকভাবে ১০টি প্লান্ট স্থাপন করা হবে, যা থেকে প্রতি মাসে ৫০ টন জৈব সার উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর ছাড়াও নদী ও হাওরবেষ্টিত নবীনগর উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের সঙ্গে নৌপথে যোগাযোগে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কচুরিপানা। এতে নৌপথ ক্রমে সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়ে বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। নৌপথ স্বাভাবিক রাখতে কচুরিপানা পরিষ্কার করে তা উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। সংগৃহীত কচুরিপানার নিচের কালো অংশ কেটে ফেলে দেয়া হয়। পাতাসহ বাকি অংশটুকুর দেড় টন পরিমাণ স্তূপ করে ১৫ সেন্টিমিটার পর পর ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ট্রাইকোডার্মা নামক এক ধরনের ছত্রাক এবং ২০০ গ্রাম চুন ছিটিয়ে এ সার তৈরি করা হয়। সার তৈরি করতে দুই মাস সময় লাগে। পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ায় নবীনগর উপজেলায় বাজারজাত করা হয়েছে। উপজেলার বিসিইসির ২৬টি ডিলার জৈব সার কর্নার স্থাপন করে তা বিক্রি করছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ টন সারা বিক্রি হয়েছে।

১০ জন কৃষকের সমন্বয়ে তৈরি এ প্লান্ট থেকে প্রতি মাসে পাঁচ টন সার উৎপাদনের কথা জানিয়েছেন নবীনগর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু নোমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন