দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩ দশমিক ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল এ জেলায় তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এদিন ৪৩ ডিগ্রি বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল আরো তিন জেলায়—চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহীতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কিছু জায়গায় প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সিলেট বিভাগের কিছু এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টিও হতে পারে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে। ওইদিন রাজশাহীর তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে গতকাল যশোরের তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৫২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

চলতি মৌসুমে তাপপ্রবাহ শুরু হয় গত ৩১ মার্চ থেকে। অর্থাৎ টানা ৩১ দিন ধরে দেশে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে সেটাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়। এর বেশি হলে সেটাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। সেই হিসাবে গতকাল যশোরের বাইরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল চুয়াডাঙ্গা (৪৩ দশমিক ৭), পাবনা (৪৩ দশমিক ২) ও রাজশাহী (৪৩), কুষ্টিয়া (৪২ দশমিক ৫), বাগেরহাট (৪২ দশমিক ৩) ও সাতক্ষীরায় (৪২ দশমিক ২)। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ, দিনাজপুর ও খুলনায়। 

এদিকে বণিক বার্তার মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল সদর উপজেলায় প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মোল্লারচর এলাকার ওমর আলী (৬৫) ও মানিকপুর এলাকার বাতেন মাঝি (৭৫)। তাদের মধ্যে ওমর আলী কৃষিকাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাতেন মাঝি। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শৈবাল বসাকের ধারণা, প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন