অ্যামচেমের সেমিনারে অর্থ প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশে ফিনটেক খাতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশে ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) খাতে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত ‘ড্রাইভিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বেসরকারি খাতের সহযোগী হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ভালো। এজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগী। দেশের বৃহত্তম রফতানি ও বৈদেশিক বিনিয়োগেরও উৎস যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কোম্পানি মাস্টারকার্ড এবং ভিসা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।’

অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর (ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিন) জন ফে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ ও ২০৩১ সালের মধ্যে শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল ২০২১-২৬ বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ কার্যক্রমের ওপর জোর দেয়া হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে এক ব্যবসায়ীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকের সুদহার বাজারভিত্তিক করা হচ্ছে এবং মুদ্রা বিনিময় হার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে এর ইতিবাচক সুবিধা পেতে শুরু করেছি। জুনে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছি।’

ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহে বাজারভিত্তিক সুদহার কেমন হবে, সেটা দেখার জন্য আরো কিছুটা সময় দেয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, অ্যামচেমের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা, মার্কিন দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন