জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীতে বক্তারা

নীতিসহায়তা পেলে স্বর্ণ শিল্প খাত বিলিয়ন ডলার আনবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

বাংলাদেশে একটি ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে স্বর্ণ শিল্প। অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ব্যবহার শিল্পে বিপ্লব ঘটাবে। তৈরি পোশাক খাতের মতো খাতও নীতিসহায়তা পেলে একদিন বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আনবে। সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে সুন্দরভাবে আমরা ব্যবসা করতে চাই। তবে এজন্য ভালো নীতিসহায়তা দরকার। নীতিসহায়তা পেলেস্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য অর্জনে খাত সহায়ক ভূমিকা রাখবে। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পগুচ্ছ হলে প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী বাংলাদেশ (আইজেএমইবি)-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ।

আরো উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার, বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মুখপাত্র সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, সহসভাপতি সুমিত ঘোষ অপু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল।। প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, চীন থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের ১০টি দেশের প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান। তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি আগামীকাল পর্যন্ত চলবে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশে প্রথম তিনদিনের আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী শুরু হলো। শিল্প রফতানি স্থানীয় বাজারে অবদান রাখছে। রফতানি খাত তৈরি পোশাক খাতের মতো বিলিয়ন ডলার আনবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এক্ষেত্রে নীতিসহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নীতিসহায়তা পেলে ব্যবসায়িকভাবে খাত আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘শিল্প-কারখানা ট্রেড দুটি বিষয়কে আলাদা করতে হবে। যারা শিল্প-কারখানা করে তাদের জন্য নীতিসহায়তা এক রকম এবং যারা ট্রেড করে তাদের জন্য আরেক রকম হবে। তাহলে অনেকেই শিল্প করার জন্য এগিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি, সেটা পূরণ হবে।

স্বর্ণ বিক্রিতে ভ্যাট কমানোর বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘স্বর্ণ বিক্রিতে আমাদের পাশের দেশগুলোয় ভ্যাট শতাংশের নিচে আছে, এজন্য আমি এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব যাতে স্বর্ণ বিক্রিতে শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করে দেয়।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘আমি অপেক্ষায় আছি সরকার কবে খাতে প্রণোদনা দেবে। বাংলাদেশের যে প্রতিভাশালী কারিগর রয়েছে, তারা যদি একটু প্রশিক্ষণ পায় তাহলে যেকোনো খাত থেকে স্বর্ণ খাত অনেক বেশি লাভজনক হবে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় নতুন নতুন পণ্য আনতে বলছেন। স্বর্ণ হলো সেই পণ্য, যা সব খাতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। বাজুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটা স্বর্ণের নতুন সোর্স হিসেবে পরিচিত করতে পারব।

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেএনসি সার্ভিসেসের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রান্তি নাগভেকার বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই আমরা গিয়েছি, সেখানে বাংলাদেশের কারিগরদের হাতের কাজের সুনাম পেয়েছি। কারিগরদের হাতে যদি আধুনিক মেশিন যুক্ত হয়, তাহলে বিশ্বজয় করবে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন