২০২৩ সালে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি হার

কম্বোডিয়ার ১০.৬১% ভিয়েতনামের ৩.৩৫% আর বাংলাদেশের -১৩.৬৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

গত বছর বৈশ্বিকভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ ১০ শতাংশের বেশি কমে দশমিক ট্রিলিয়ন ডলারে স্থবির রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এফডিআই প্রবাহ কমেছে শতাংশ। যদিও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় এফডিআই প্রবাহ বেড়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ, ভিয়েতনামে দশমিক ৩৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তানে বেড়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে এফডিআই প্রবাহ নেতিবাচক। যার হার ঋণাত্মক ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধির চিত্র জাতিসংঘ বাণিজ্য বিনিয়োগ সম্পর্কিত সংস্থা আঙ্কটাড প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২৪- প্রকাশ পেয়েছে। গতকাল বিশ্বব্যাপী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের মুখবন্ধে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়নের জ্বালানি হলো বিনিয়োগ। এসডিজি লক্ষ্য অর্জন এবং জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতি বছর আনুমানিক ৫০০ বিলিয়ন ডলারের সরকারি অর্থায়ন এবং ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেসরকারি অর্থায়ন প্রয়োজন, যার বেশির ভাগই হবে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) হিসেবে। কিন্তু অনেক উন্নয়নশীল দেশে এর পরিমাণ শূন্য হাতে চলছে।

বৈশ্বিক আঞ্চলিক সংকট, বাণিজ্য উত্তেজনা এবং কঠোর অর্থায়নের পরিস্থিতি বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ওপর একটি শীতল প্রভাব ফেলেছে, যা ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও স্থবির ছিল। বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের বৈশ্বিক প্রবাহ দশমিক ট্রিলিয়ন ডলারে স্থবির রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় নতুন শিল্প অবকাঠামো প্রকল্পগুলোয় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক খাতে নতুন বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দুর্বল প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং অব্যাহত বাণিজ্য ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে ২০২৪ সালের সম্ভাবনাগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। পরিস্থিতিতেও ২০২৩ সালে বাংলাদেশে নতুন বিদেশী বিনিয়োগের ঘোষণা বেড়েছে ৩৪৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘোষিত গ্রিনফিল্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পের অর্থমূল্য ছিল ২৮৩ কোটি ১০ লাখ ডলারের। ২০২২ সালে যার পরিমাণ ছিল ৬৫ কোটি ডলার।

ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২৪- প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ সালে এফডিআই প্রবাহ বেড়েছিল ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০২২ সালে প্রবাহ ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। ২০২৩ সালে ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে প্রবাহ হয়েছে ৩০০ কোটি ৪০ লাখ ডলারের। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ভিয়েতনামে বেড়েছে দশমিক ৩৫ শতাংশ। কম্বোডিয়ায় এফডিআই প্রবৃদ্ধি ২০২৩ সালে হয়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। পাকিস্তানে এফডিআই প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

২০২৩ সালে ৪৫টি স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) এফডিআই ১৭ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর প্রায় ৫০ শতাংশ প্রবাহ কেন্দ্রীভূত ছিল কম্বোডিয়া, ইথিওপিয়া, বাংলাদেশ, উগান্ডা সেনেগাল পাঁচ দেশে। গত এক দশকে স্বল্পোন্নত দেশের বহিঃখাতগুলোয় অর্থায়নের অন্যান্য উৎসের তুলনায় এফডিআই প্রবৃদ্ধিই পিছিয়ে আছে। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন সহায়তা রেমিট্যান্স হার স্বল্পোন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন