বাংলাদেশ থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) আওতায় পাঁচটি সেক্টরে প্রশিক্ষণ দেবে কোরিয়া। এসব কর্মীকে দক্ষতা উন্নয়ন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কোইকার প্রতিনিধি দল।
গতকাল সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে কোইকার ডিরেক্টর জেনারেল জংমিন পার্ক বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে কোরিয়া। আগামীতেও বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামে উৎপাদনশীল খাতগুলোয় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করব আমরা।’
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের আজকের এ অবস্থানের পেছনে রয়েছে কোরিয়ার অবদান। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নেও কাজ করছে কোরিয়া।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রচুর জনশক্তি থাকলেও রয়েছে টেকনিক্যাল দক্ষতার অভাব। কোরিয়ার এ ধরনের উদ্যোগের ফলে শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি যেমন গড়ে উঠবে, তেমনি বিভিন্ন দেশেও এসব দক্ষ জনশক্তি রফতানি করা যাবে।’ ওমর হাজ্জাজ চট্টগ্রামে শিল্প-কারখানাগুলোয় সেক্টরভিত্তিক জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করতে যৌথভাবে কোইকার সঙ্গে একটা ডাটাবেজ তৈরিতে গবেষণা করার ঘোষণা দেন।
এ সময় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, কোইকার ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং হিউনও, যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নামছুল লি, মেকানিক্যাল ডিজাইন এক্সপার্ট জং ইয়েন পার্ক, সাংকোংওয়াং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক চাং ইয়াপ কিম, চেম্বার পরিচালকদের মধ্যে অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, কোইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চেম্বার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। —বিজ্ঞপ্তি
