এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা

আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতিসহায়তা চান খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায় ঔষধি গাছ সংরক্ষণ এবং ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলা, হারবাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ  প্রযুক্তির প্রয়োগ গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

গতকাল এফবিসিসিআইয়ে মতিঝিল কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ হারবাল প্রডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রফতানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে।

খাতের প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এজন্য আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাব আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী বলেন, ‘হারবাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারা বিশ্বেই হারবাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি গবেষণায় বিনিয়োগে মনোযোগী হতে হবে।

আয়ুর্বেদিক হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের মেডিকেল রেকর্ড এবং ডাটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ প্রীতি চক্রবর্তী। হারবাল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও খাতের উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন