বৈশ্বিক গাড়ি বাজারের ৩৩ শতাংশ দখলের প্রত্যাশা চীন নির্মাতাদের

বণিক বার্তা ডেস্ক

নিওর মতো স্থানীয় ব্র্যান্ডের দাপটে চীনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিদেশী গাড়ি কোম্পানিগুলো ছবি: নিও

আন্তর্জাতিক স্তরে সাম্প্রতিক নানা বাধা সত্ত্বেও গাড়ির বাজার ক্রমবর্ধমানভাবে সম্প্রসারণের প্রত্যাশা করছে চীনা অটোমেকাররা। তাদের পূর্বাভাস অনুসারে, ২০৩০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক মোটরগাড়ি বাজারের ৩৩ শতাংশই হবে চীনা ব্র্যান্ডের। পরামর্শক সংস্থা অ্যালিক্স পার্টনাসের নতুন এক প্রতিবেদনে তথ্য দেয়া হয়েছে। খবর সিএনবিসি।

গাড়ির বাজারে চীনের উত্থানের মূলে রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি। খাতেই দেশটির প্রবৃদ্ধি দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছর চীনা গাড়ির বাজার হিস্যা ২১ শতাংশ পর্যন্ত সম্প্রসারণের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, প্রবৃদ্ধির বেশির ভাগই হবে চীনের বাইরে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ৩০ লাখ গাড়ি বিক্রির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ২০৩০ সালে ৯০ লাখে উন্নীত হবে। বর্তমানে দেশটির বাইরে চীনা ব্র্যান্ডের হিস্যা শতাংশ। পূর্বাভাস অনুসারে, দশকের শেষ নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ১৩ শতাংশে।

বিশ্বব্যাপী চীনা গাড়ি ব্র্যান্ডের দ্রুত সম্প্রসারণ অনেক গাড়ি কোম্পানি রাজনীতিবিদদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশই আশঙ্কা করছে যে কম খরচে চীনে তৈরি যানবাহন তাদের বাজার দখল করে নেবে। এতে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত অল-ইলেকট্রিক ধাঁচের গাড়িগুলো সংকটে পড়বে।

অ্যালিক্স পার্টনার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক সব বাজারে চীনা ব্র্যান্ডের প্রবেশ বাড়লেও কিছু অঞ্চলে শ্লথগতি দেখা যাবে। যেমন যানবাহনের সুরক্ষা মানে কঠোরতা আমদানি করা চীনা ইভির ওপর শতভাগ শুল্ক ঘোষণা করায় যুক্তরাষ্ট্রসহ জাপান উত্তর আমেরিকায় বিক্রি বৃদ্ধির হার ধীর হবে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ এতে প্রভাব ফেলবে।

চীনা গাড়ি নির্মাতাদের উত্তর আমেরিকায় শতাংশ বাজার হিস্যা অর্জনের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সামনে রয়েছে মেক্সিকো, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে পাঁচটির একটি গাড়ি চীনা ব্র্যান্ডের হবে। বিশ্বের অন্যান্য প্রধান অঞ্চলে চীনা গাড়ির উপস্থিতি দ্রুত বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্য দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য আফ্রিকা।

অ্যালিক্স পার্টনার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, স্থানীয় বাজারে চীনা ব্র্যান্ডগুলোর উপস্থিতি ৫৯-৭২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সাশ্রয়ী দেশী ব্র্যান্ডের কারণে বিদেশী গাড়ির প্রতি ক্রেতাদের অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন