টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ঢাকা-নয়াদিল্লির —শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে গতকাল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‌উভয় দেশ একটি রূপকল্প অনুমোদন করেছে, যাতে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে দুই দেশই পরিচালিত হতে পারে। আমরা টেকসই ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল এবং সবুজ অংশীদারত্বের বিষয়ে একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।’

ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সৃষ্ট সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব দেয়।’ তিনি বলেন, ‘‌বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত ও দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‌আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌আমরা আমাদের দুই দেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’

শেখ হাসিনা  বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দুই দেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।’ শেখ হাসিনা জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক চলাকালে দুই দেশের সরকারপ্রধান পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‌আমি বিশ্বাস করি, এসব আলোচনা আমাদের একে অপরকে সহযোগিতার উন্নততর পথ নিরূপণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে।’

তিনি আরো জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো দেশে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। 

এ সময় উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‌আমাকে এবং আমার প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ আতিথেয়তা প্রদান করার জন্য আমি ভারত সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন