সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের বাজেটবিষয়ক আলোচনায় আহসান এইচ মনসুর

বিদ্যুতে ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়ে বেশি দূর এগোনো যায় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ খাতকে সরকার যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছে। বিদ্যমান ক্যাপাসিটি চার্জ ও ভর্তুকি বজায় রেখে বেশি দূর এগোনো যাবে না। ভারতের আদানি গ্রুপ হোক কিংবা দেশের সামিট গ্রুপ হোক, আমি মনে করি, এদের সঙ্গে পুনরায় দরকষাকষি করতে হবে। কারণ এর মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয় করা সম্ভব।’

গতকাল রাজধানীতে ‘সম্পাদক পরিষদ’ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনারস’ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু অসংগতি আছে বলে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে ব্যক্তি খাতের আকার ৮৬ ও সরকারি খাতের ১৪ শতাংশ। আমাদের হিসাবে ব্যক্তি খাত ঋণ পাচ্ছে ২৪ শতাংশ, আর ৭৬ শতাংশ ঋণ পাচ্ছে সরকার। বড় অসংগতি এখানেই, এটা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংক খাত এত দুর্বল যে আমানতের প্রবৃদ্ধি ভালো নয়। আমানতে প্রবৃদ্ধি ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার বেশি হবে না। সেখান থেকে সরকারই যদি ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়, তাহলে আর কী থাকবে!’

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক খাত থেকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার টাকা পাচ্ছে না, ব্যবসায়ীরাও পাচ্ছেন না। কেন পাচ্ছেন না? এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী কারা?’

তিনি বলেন, ‘মুদ্রানীতির সঙ্গে মূল্যস্ফীতি সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির বিষয়গুলো চিহ্নিত করে। বাজেটে বিষয়টি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। অর্থাৎ যদি বাজেট বেশি সম্প্রসারণমূলক হয়, তাহলে সেটি মুদ্রানীতিকে ছাপিয়ে যায় এবং ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলব, প্রস্তাবিত বাজেট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। কারণ এটি সংকুচিত বাজেট। তবে মূল্যস্ফীতি কি কমে আসবে? সেটা বাজেটের দায়িত্ব নয়। বাজেটে কিছু ট্যাক্স কমানো হয়েছে, সেসব দিয়েও মূল্যস্ফীতি কমবে না। মূল্যস্ফীতি চূড়ান্তভাবে কমবে কঠোর মুদ্রানীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতার মাধ্যমে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন