আগামীকাল ভোরে শ্রীলংকার মুখোমুখি বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত
Default Image

যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামের গ্যালারির পুরোটাই আগামীকাল দখলে রাখবে বাংলাদেশী ও শ্রীলংকার ক্রিকেট সমর্থকরা। এ মাঠে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অল-এশিয়ান কিংবা অল-সাবকন্টিনেন্টাল লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়।

শ্রীলংকা প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে খুব বাজেভাবে হেরেছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর ওয়ার্মআপ ম্যাচেও ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। তাতে ভীষণভাবে চাপে পড়েছে দলটি, হতাশা নেমেছে সমর্থকদের মধ্যে। এ দুটি ‘বিপর্যস্ত’ দল বিশ্বকাপ ম্যাচে একে অন্যের মুখোমুখি হচ্ছে। দুই দলই জিততে মরিয়া।

লংকানদের ফর্মটা ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে। বাংলাদেশের মাটিতে ২-১-এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করা সিংহলিজরা মাঝে কোনো সিরিজ খেলেনি। বিশ্বকাপে দুটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ খেলেছে তারা। নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পেরেছে হাসারাঙ্গা ডি সিলভার দল। যদিও বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। নিউইয়র্কের অদ্ভুতুড়ে পিচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হওয়ার পর ৬ উইকেটে হেরেছে ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। 

আজ অবশ্য নিউইয়র্কের ভয়াবহ পিচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না শ্রীলংকা কিংবা বাংলাদেশকে। খেলা হবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। গতকাল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এ মাঠে চলতি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে কানাডার ছুড়ে দেয়া ১৯০ রানেরও বেশি টার্গেট তাড়া করে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডালাসের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য রান হয়নি। দুই সহযোগী দেশের লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে ১০৬ রানে অলআউট নেপাল। পরে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস। ডালাসে গতকাল রাতে তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। 

টি-টোয়েন্টির মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে শ্রীলংকা। ১৬ ম্যাচের লড়াইয়ে তারা ১১টি ও বাংলাদেশ ৫টি জিতেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবারের দেখায় দুবারই জিতেছে শ্রীলংকা। ২০০৭ সালের আসরে জোহানেসবার্গে ৬৪ রানে ও ২০২১ সালে শারজায় ৫ উইকেটে জিতেছে লংকানরা। হাসারাঙ্গার দল কি বিশ্বকাপ রেকর্ডটা ৩-০ করে ফেলবে, নাকি ব্যবধান কমিয়ে ২-১ করতে সমর্থ হবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা?

অস্ট্রেলিয়ার শুভসূচনা: মার্কাস স্টয়নিস ও ডেভিড ওয়ার্নার বিপদ থেকে রক্ষা করলেন অস্ট্রেলিয়াকে। গতকাল সকালে (বাংলাদেশ সময়) বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে ‘বি’ গ্রুপ ম্যাচ শুরুর অনিশ্চয়তা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ওমানকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় মিচেল মার্শের দল। এ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। শেষ দিকের লড়াইয়ের পরও তারা বোর্ডে তুলতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১২৫ রান।

নামিবিয়ার সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করে সুপার ওভারে হেরে যাওয়া ওমান গতকাল বোলিংয়ে সাফল্য দেখালেও ব্যাটিংয়ের শুরুতেই হেরে বসে। ৫৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে যথাক্রমে ৩২ ও ২৮ রানের জুটিতে দল ১০০ রানের কোটা পার হলেও জয়ের নাগাল আর পাওয়া হলো না। ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন স্টয়নিস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ছিল বেশ ধীরগতির। অজিদের স্বভাবসুলভ নয় মোটেও। ৮.৩ ওভারের সময় ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে হারানো অজিদের রান ছিল ৫০/৩! এরপর অভিজ্ঞ ওয়ার্নার ও স্টয়নিসের ঝড়ো এক জুটিতে সম্মানজনক সংগ্রহ নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬৪ বলে ১০২ রান তোলেন ওয়ার্নার ও স্টয়নিস। ৫১ বলে ৫৬ রান করে ১৯তম ওভারে আউট হয়ে যান ওয়ার্নার। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। পরে টিম ডেভিডকে নিয়ে দলের সংগ্রহটা ১৬৪ পর্যন্ত নিয়ে নেন স্টয়নিস। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৬৭ রান করে। ডানহাতি এ ব্যাটার তার মূল্যবান ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ৬টি ছক্কায়। 

এদিকে, নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে এসেই ইতিহাস গড়েছে আফ্রিকান দেশ উগান্ডা। পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় নিশ্চিত করেছে তারা। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে বোলিং করে পাপুয়া নিউগিনিকে ৭৭ রানে অলআউট করে ‘ক্রিকেট ক্রেন’রা। পরে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১০ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে ব্রায়ান মাসাবার দল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন