১০ ট্রিলিয়ন ওন বিনিয়োগ পরিকল্পনা এলজি কেমের

বণিক বার্তা ডেস্ক

২০২৫ সালের মধ্যে ১০ ট্রিলিয়ন ওন বা ৭৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এলজি কেম। ব্যাটারি, ওষুধ ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে এ বিনিয়োগ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃস্থানীয় রাসায়নিক কোম্পানিটি। খবর দ্য কোরিয়া হেরাল্ড।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, এলজি কেমের লক্ষ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক বিক্রি ৩০ ট্রিলিয়ন ওনে উন্নীত করা। সিউলের ইয়ুআইদুতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক শেয়ারহোল্ডারদের বৈঠকে এলজি কেমের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও শিন হাক-চেওল বলেন, ‘সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বেশি, কার্বন নিঃসরণ নীতির উন্নয়ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত ক্রমেই প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে।’

শিন আরো বলেন, ‘‌এলজি কেম একটি বৈশ্বিক কোম্পানি হিসেবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। কোম্পানিটি সমস্যা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। গত মঙ্গলবার ব্যাটারি ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শিন। এলজি কেম কাঁচামাল সুরক্ষিত করা এবং ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য একটি স্থিতিশীল সরবরাহ চেইন তৈরির চেষ্টা করবে। ব্যাটারি বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারও বাড়াবে।’

ওষুধ ব্যবসার বিষয়ে শিন বলেন, ‘‌এভিইও ফার্মাসিউটিক্যালস অধিগ্রহণ করে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হওয়ার দৌড়ে রয়েছে এলজি কেম। এভিইও ফার্ম যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের বাণিজ্যিকীকরণ সক্ষমতা সুরক্ষিত করতে সহায়তা করবে।’

চলতি বছরের শুরুতে এলজি কেম ৫৭ কোটি ১০ লাখ ডলারে অধিগ্রহণ করে এভিইও ফার্মাসিউটিক্যালস। শিন বলেন, ‘‌ভবিষ্যতে এলজি কেম উদ্ভাবনী ওষুধ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।’

এদিকে ২০৫০ সালের মধ্যে জিরো কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য করেছে এলজি কেম। এজন্য জ্বালানি সঞ্চয়ের জন্য নতুন প্রযুক্তি এবং বায়োমাস ও হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি করছে কোম্পানিটি।

এলজি কেমের প্রত্যাশা, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৪০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন