ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক ও খালের জমি দখলের অভিযোগ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে খাল ও সড়কের জমিতে নির্মাণ করা স্থাপনা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত বাঙ্গরা বাজার। পশ্চিমে সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অদের খাল। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের পাশে দোকানপাট নির্মাণের নামে সরকারি জমি দখল করা হয়েছে। সড়ক ও খালের জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে স্থাপনা। এতে খাল ও সড়ক সংকুচিত হচ্ছে। নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন তরী বাংলাদেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরীর একটি পোস্ট আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গেও কথা বলেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের মাধ্যমে খোঁজখবর রাখছি। অবৈধভাবে দখলকৃত জমি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি উচ্ছেদে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সহযোগিতা করব।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাইবাঙ্গরা বাজার এলাকায় বাজারজুড়ে চলে জমি দখল। সেতুর ওপর বসেছে চায়ের দোকান। অদের খালের পাশে নদী দখল করে বসানো হয়েছে মুরগির দোকান। যার মালিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

তবে বাঙ্গরা বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল আলম রবি বলেন, ‘সবাই নিজ নিজ দায়িত্বেই সড়কের পাশে দোকান নির্মাণ করছে। আগে থেকেই এখানে তারা ব্যবসা করে আসছিলেন। সড়কের গাইডওয়াল নির্মাণকাজের প্রয়োজনে সাবেক এমপির অনুরোধে তারা দোকান সরিয়ে নিয়েছিলেন।’

তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, ‘২১ এপ্রিল তরী বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল দখলকৃত স্থান পরিদর্শন করেন। দখলের সত্যতা পেয়ে ২৩ এপ্রিল তরীর পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর উচ্ছেদের আবেদন করা হয়। এখানে যেভাবে দখল চলছে, দেখে মনে হবে না দেশে আইন বলতে কিছু আছে। সরজমিন পরিদর্শনকালে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে, সরকারি জমিতে গড়ে তোলা এসব দোকানের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।’

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে কয়েকজন দোকানি জানান, প্রতিটি দোকানের পজিশন ফিরে পেতে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের।

এ ব্যাপারে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন