অসাধারণ সব স্থাপনার জন্য দিন দিন খ্যাতি বাড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুরের।
বিশালাকার কৃত্রিম গাছ ও সংরক্ষিত উদ্ভিদ উদ্যান নিয়ে গার্ডেনস বাই বে, ঔপনিবেশিক আমলের খাদ্যসম্ভার নিয়ে লাউ পা সাত বা অত্যাধুনিক শপিংমলসহ জুয়েল চাঙ্গি বিমানবন্দর—এসবগুলো এবং আরো বহু ‘বিস্ময়কর’ স্থাপনা নির্মাণ করছে ও করে চলেছে একটি কোম্পানি, যা প্রায় এক শতাব্দী ধরে ইয়ংস পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
১৯২০ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসনামল থেকেই সিঙ্গাপুরের রূপায়ণ করে চলেছে পরিবারটি।
বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্মের হাতে রয়েছে পরিবারটির ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য ওহ হাপ হোল্ডিংসের মালিকানা।
ইয়ংদের হাতে ওহ হাপের নিয়ন্ত্রণ সিঙ্গাপুরের পরিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করছে।
পাশাপাশি কোম্পানিটির কারাগার ও বন্দরের মতো মৌলিক অবকাঠামো থেকে বিনোদন ও বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে মনোযোগ স্থানান্তরেরও দৃষ্টান্ত।
কোম্পানিটির নির্বাহী পরিচালক ৬৭ বছর বয়সী ইউজিন ইয়ং নির্মাণ কোনো মোহনীয় কাজ নয় স্বীকার করে জানান, আমরা আমাদের সৃষ্টি নিয়ে গর্বিত।
সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্প নির্মাণ কোম্পানিটিকে সম্পদশালী করেছে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরে কোম্পানিটির আয় দাঁড়ায় ৭৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ৩১ শতাংশ বেশি।
ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক প্রাক্কলন অনুসারে, পরিবারটির সম্পদের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার।
১৯২৭ সালে ইয়ংয়ের পিতামহ মালয়েশিয়া থেকে ইয়ং ইয়েত লিন গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সরকারি নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র পাওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরে আসেন তিনি।
একটি ব্রিটিশ পরিবারের বেড়া ও বাগানের দরজা নির্মাণের কাজ পাওয়ার মধ্য দিয়ে ঠিকাদার হিসেবে সুযোগ পান তিনি।
সিঙ্গাপুরে ব্যবসার সম্প্রসারণ ক্লিফোর্ড পোতাশ্রয়, চাঙ্গি কারাগার ও সাবেক শ্রম মন্ত্রণালয়ের ভবনের মতো বিশালাকার প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে। প্রাথমিক দিকে নগররাষ্ট্রটির রূপরেখা গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে এ ভবনগুলো।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে দ্বিতীয় প্রজন্ম হিসেবে ব্যবসার দায়িত্ব নেন ইয়ংয়ের পিতা নাম সেং। এখন ওহ হাপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। উপচেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ইউজিনের বড় ভাই তিয়াম ইয়ুন। আর চতুর্থ প্রজন্মের উত্তরাধিকার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন নাম সেংয়ের দৌহিত্রী মিশেল ইয়ং।
২০০৭ সালে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন মিশেল এবং আবাসিক ভবন নির্মাতা কোম্পানি অ্যারুমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এক
সাক্ষাত্কারে ৪১ বছর বয়সী ইয়ং জানান, এতদিন ধরে পরিবারের বহু সদস্য কোম্পানিতে অনেক মূল্য যুক্ত করেছে।
যখন অ্যারুমের সুযোগ আসে, তখন তা আমার সামনে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ও একটা কিছু করার সুযোগ তৈরি করে দেয়।
অ্যারুমের অধীনে ফাউন্ডএইট, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান অ্যারুম ইনভেস্টমেন্ট ও ফিটনেস সেন্টার কোর কালেক্টিভ গড়ে তোলা হয়েছে।
এ
মুহূর্তে ব্যবসাকে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বাইরে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা করছেন মিশেল ইয়ং।