সাক্ষাৎকার

অর্থনৈতিক সুফলকে ব্যাপৃত করতে হবে

ড. সেলিম জাহান

(গতকালের পর)

খেলাপি ঋণ বাড়ছে, ব্যাংকগুলো বন্ধ হচ্ছে, অর্থ পাচার হচ্ছে—এসব কিসের ফল?

প্রসঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অসমতার কথা বলছি। অসমতা প্রথমে তৈরি হয় অর্থনৈতিক অসমতা থেকে। পরে তা একটা রাজনৈতিক স্বার্থে পরিণত হয়। কারণ ধনিক শ্রেণী বা সম্পদশালীদের কিন্তু অসমতাকে টিকিয়ে রাখলেই লাভ। অসমতা কমে গেলে তাদের ক্ষতি। তবে রাষ্ট্র তো কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়। মানুষ আর প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রাষ্ট্র। জনগোষ্ঠীর সবাইকে নিয়ে রাষ্ট্র। এখন রাষ্ট্রের মধ্যে যদি আমরা দেখতে পাই যে যাদের রাজনৈতিক স্বার্থ আছে, যারা অর্থনৈতিক অসমতার ওপর ভিত্তি করে এ স্বার্থটিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিয়ে এসেছে, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই যেকোনো দেশের সম্পদ, ক্ষমতা তারা কুক্ষিগত করতে চাইবে। এটা খুব স্বাভাবিক প্রবণতা। এভাবে সম্পদ ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করায় সাধারণ মানুষের ওপর দুই রকমের প্রভাব পড়বে। প্রথমত, কোনো সন্দেহ নেই যে, সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারেও তার একটা অনীহা আসবে। কারণ সে সবসময় মনে করবে, এখানে আসলে আমার করার কিছু নেই, আমি কিছু করতে পারব না, আমি কিছু বদলাতে পারব না। আমার মনে হয়, সাধারণ মানুষ যখন এ-জাতীয় অনীহার মধ্যে চলে আসে, সাধারণ মানুষ যখন আলাপ-আলোচনা, বিতর্ক বা অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, সেটা কিন্তু রাষ্ট্রের জন্য ভালো নয়। এতে একটা দেশের সামাজিক বন্ধন ক্রমে শিথিল হয়ে আসে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফলকে ব্যাপৃত করে দিতে হবে, যাতে সুফলটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে। যে মুহূর্তে সাধারণ মানুষ সেবার সুযোগ পাবে কিংবা উন্নয়নের সুযোগ পাবে, তখন সে মনে করবে এ প্রক্রিয়ায় আমিও একজন সুফলভোগী কিংবা অংশগ্রহণকারী। এটা হলে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকের সম্পর্কটা অন্য রকম হয়ে উঠবে।

আমরা সবসময় বলি, রাষ্ট্রকে গণতন্ত্র দিতে হবে, সরকারকে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলি, আমাদের প্রত্যেকের দায়দায়িত্ব কিন্তু প্রথম আমাদের কাছে। নাগরিক হিসেবে, ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমরা কতখানি গণতান্ত্রিক! কারণ গণতন্ত্রও বিমূর্ত ধারণা নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে একটি চলমান প্রক্রিয়া, একটি সংস্কৃতি। গণতন্ত্রের জন্য নিরন্তর সংগ্রামই হচ্ছে গণতন্ত্র। একজন পুরুষ হিসেবে আমি যদি আমার ঘরের নারীদের কথা না শুনি, কর্মক্ষেত্রে যদি আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস না করি, মনে করি আমিই হর্তাকর্তা, আর কারো কথা শোনার প্রয়োজন নেই, রাস্তাঘাটে আমি যদি গণতন্ত্রের চর্চা না করি, তাহলে একটা রাষ্ট্রের কাছ থেকে, একটা কাঠামোর কাছ থেকে কখনই গণতন্ত্র আশা করা যায় না। দ্বিতীয়ত, আমরা সবাই আমাদের অধিকারের কথা বলি। আমরা বলি, আমার অধিকার নেই, আমার অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, আমার অধিকার খর্ব হচ্ছে ইত্যাদি। আমরা কখনো আমাদের দায়িত্বের কথা বলি না। অধিকারের সঙ্গে তো দায়িত্ব আসে। আমি আমার সহযোগীর সঙ্গে, প্রতিবেশীর সঙ্গে, রাস্তায় একজন ব্যক্তির সঙ্গে যদি সেই দায়িত্বটা পালন না করি, তাহলে তো আমি অধিকার অর্জনের জন্য সমকক্ষ হতে পারব না। তাই আমাদের নিজেদেরও এক ধরনের আত্মসংশোধনের প্রয়োজন আছে। আমাদের ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা নিয়ে আসতে হবে।  আমি মনে করি, অধিকারের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব সম্পর্ককে সচেতন হতে হবে। অনেকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক নৈরাশ্যজনক কথা বলেন। যারা এ-জাতীয় কথা বলেন, তারা অনেকেই কিন্তু ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ দেখেননি। সে সময় চারপাশে ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছু ছিল না। বাংলাদেশ সে ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিশ্বের দরবারে স্থান করে নিয়েছে। অনেকেই নৈরাশ্যজনক কথা বলেন বাংলাদেশ সম্পর্কে। আমি অন্তত বিশ্বাস করি, নিরাশার কোনো ইতিবাচক দিক নেই এবং পৃথিবীর কোনো বড় কাজ নিরাশ ব্যক্তিদের দ্বারা হয়নি। আমি আশাবাদী। আমি মনে করি, আমাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। সে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক হওয়া দরকার। আমরা সবাই মিলে যদি একটা পথ খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি, তাহলে সে পথ পাওয়া যাবে এবং সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, আগামীতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।


বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদের উত্থান লক্ষণীয়। এতে বাংলাদেশ কতটা প্রভাবিত হবে?

আমি এটাকে বলি, ডানপন্থী বা দক্ষিণপন্থী প্রবণতার বিস্তার খুব বেশি হয়েছে। ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে আমরা তা দেখতে পারছি। এ দক্ষিণপন্থী বা রক্ষণশীল মনোভাবের তিনটা প্রভাব পড়েছে। এক. গণতন্ত্রের জায়গাটা সংকুচিত হয়ে গেছে। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে আমরা লক্ষ করছি জনবিতর্ক বা বস্তুনিষ্ঠ বিতর্কের জায়গাটি সংকুচিত হয়ে গেছে। এসব দেশে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মধ্যে একটা কর্তৃত্ববাদ এসেছে। ‘আমি সবচেয়ে ভালো জানি এবং আমেরিকাই প্রথম’—এ ধরনের কথা যখন বলা হয়, তখন তার মধ্যে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদ চলে আসে। কর্তৃত্ববাদের উত্থানের কতগুলো প্রভাব পড়েছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটি প্রভাব পড়েছে। আমরা জানি যে পুঁজি খুব দ্রুত এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যায় বা সম্পদ খুব দ্রুত স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু মানুষের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা এসেছে। প্রতিটি মানুষের ভিন্ন রকমের সত্তা আছে, যার কিছুটা পেশাগত, কিছুটা জন্মগত। কেউ বাদামি রঙের, কেউ দক্ষিণ এশীয়—এমন নানা রকমের আত্মপরিচয় আমাদের আছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা পরস্পরের বহুমাত্রিক আত্মপরিচয় মেনে নেব ও সম্মান করব ততক্ষণ কোনো ধরনের অসুবিধা হয় না। কিন্তু যে মুহূর্তে আমরা ধরে নেব যে আমার আত্মপরিচয়টাই শ্রেষ্ঠতম এবং এ আত্মসত্তার সঙ্গে যাদের মিল নেই, তারা গ্রহণযোগ্য নয়, তখন সমস্যাটা আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একটা প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি আমরা শ্বেতাঙ্গ, সুতরাং এখানে অশ্বেতাঙ্গরা ঢুকতে পারবে না। আমরা শিক্ষিত, ইংরেজিতে কথা বলি, সুতরাং আফ্রিকা থেকে কেউ আসতে পারবে না। এই যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি নিয়ে নেয়ার প্রবণতা এবং যাদের সঙ্গে ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদারদের মিল খায় না, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা—এতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটা বিরাট বাধা আসছে। তৃতীয়ত, কর্তৃত্ববাদের ফলে অসমতা বাড়ছে। কারণ নীতিমালা এমনভাবে প্রণীত হচ্ছে, যারা সম্পদশালী, যারা নগরে বাস করে, তাদের সপক্ষে নীতিমালা যাচ্ছে। কিন্তু যেখানে নীতিমালা দারিদ্র্য কমানোর কথা, বঞ্চনা কমানোর কথা, সেক্ষেত্রে সেটা যাচ্ছে না। ফলে আমরা দেখি বিশ্বব্যাপী সহিংসতা, সংঘাত ও সন্ত্রাস বেড়েছে। আমি মনে করি,  বিশ্বায়নের ফলে সহিংসতা, সংঘাত ও সন্ত্রাসের বহু কিছু বাংলাদেশে আসবে।

ঐতিহাসিক দিক থেকে বিচার করলে বাঙালি কিন্তু খুব শান্তিপ্রিয় জাতি। সহিংসতা আমাদের মধ্যে এত ব্যাপ্ত ছিল না। বাঙালি উদারপন্থীও। হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান মিলে আমরা কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় একত্রে বসবাস করেছি। আজ বাংলাদেশে মৌলবাদের যে বিস্তার লক্ষ করছি, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের যে বিস্তার আমরা লক্ষ করছি, তা কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘটা ঘটনার প্রতিফলন। বিষয়টি আমাকে চিন্তিত করে। কারণ আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগটা যদি শুধু অর্থনেতিক উন্নয়ন বা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে যায়, তাহলে যে বিষয়গুলো ঘিরে বিতর্ক ও আলোচনা হওয়া দরকার, সেগুলো পেছনে পড়ে যাবে। আর সেগুলো পেছনে পড়ে গেলে অর্জিত উন্নয়নকে বজায়ক্ষম করতে অত্যন্ত কষ্ট হবে।

 সম্প্রতি চীন-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এদিকে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কী হওয়া উচিত?

আমরা একটা বৈশ্বিক কাঠামোর মধ্যে বাস করি। সুতরাং বিশ্বে কি হচ্ছে না হচ্ছে— নীতির ক্ষেত্রে, প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে, উন্নয়নের ক্ষেত্রে—তা আমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সীমাবদ্ধ হয়ে এলে আমাদের পাঠানো শ্রমিকের চাহিদা থাকবে না। শ্রমিকের চাহিদা যদি না থাকে, আমরা যে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি, তা আমাদের এখানে আসবে না। খুব সাধারণভাবে এর প্রভাব হিসেবে আমরা যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো করতে চাই, তা করতে পারব না।
আমাদের মনে রাখতে হবে বৈশ্বিক দিক থেকে উন্নয়ন বা প্রবৃদ্ধির যে কেন্দ্র, তা স্থানান্তরিত হয়ে গেছে। একসময় প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র ছিল ইউরোপের দেশগুলো। এরপর এটা চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র কিন্তু এশিয়ায় সরে আসছে। প্রায় ৩০ বছর ধরে চীন তাদের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, তার ফলে আমরা এখন দেখতে পারছি চীন-ভারত এ জায়গাটায় চলে এসেছে। প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র এখানে চলে আসার দুই রকমের প্রভাব রয়েছে। আমাদের রফতানির একটা বড় অংশ যায় ইউরোপে। আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় রফতানি করে থাকি। এখন ইউরোপে প্রবৃদ্ধি যদি কম হয় কিংবা আমরা যেসব দেশে রফতানি করি, সেখানে যদি মন্দা দেখা দেয়, তাহলে আমাদের রফতানি পণ্যের চাহিদা কমে যাবে। এটা মোকাবেলার জন্য বিকল্প বাজার আমাদের আছে কিনা, তা চিন্তা করতে হবে। তাছাড়া এসব জায়গায় মন্দা হলে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও মনোভাব দেখা দেবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করা দরকার।
প্রযুক্তির উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। প্রযুক্তি এখন শুধু মুঠোফোনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জায়গায় চলে গেছে। বহু গতানুগতিক কাজ আছে, যা আর মানুষের করার প্রয়োজন নেই, যন্ত্র করতে পারবে। এর সবচেয়ে বড় উর্বর ক্ষেত্র হচ্ছে পোশাক শিল্প। ভবিষ্যতে প্রযুক্তি প্রসারের কারণে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যে প্রভাব পড়বে, তার ফলে কর্মনিয়োজনের ক্ষেত্রে শ্রমিক শ্রেণী ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অর্থনীতিতে এর কী প্রভাব পড়বে, সেটা দেখা দরকার। আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে মাতামাতি করি। আমাদের অর্জনকে স্বীকৃতি দিতে হবে, তবে তা বস্তুনিষ্ঠভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হতে চলেছি, যা গর্ব করার মতো ব্যাপার। কিন্তু তার নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে এখনই সচেতন হওয়া দরকার। কারণ ২০২৪ সালে এসে নতুন করে নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অনেক দেরি হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে যদি একে যুক্ত করেন, তাহলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অনেক সুবিধা হারাব। আমরা প্রাথমিক পণ্য রফতানি করে থাকি। ইউরোপের বাজারের ওপর যদি শুল্ক বসানো হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে কম্বোডিয়া, লাওস কিংবা ভিয়েতনামের সঙ্গে। যেখানে শ্রমের মজুরি আমাদের চেয়ে কম। ১০ বা ২০ বছর আগে আমরা যে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলাম, এখন তারা কম মজুরি ও স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে সেখানে রয়েছে। পোশাক শিল্প আমাদের অর্থনীতির বৃহত্তর অংশ জুড়ে রয়েছে, বিশেষ করে রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে। সেটা যদি ভঙ্গুর হয়ে যায়, তখন আমরা কী করব—এ প্রশ্ন কিন্তু এখনই উত্থাপন করা প্রয়োজন। (শেষ)

 ড. সেলিম জাহান: নিউইয়র্কে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন কার্যালয় ও দারিদ্র্য বিমোচন বিভাগের সাবেক পরিচালক

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: রুহিনা ফেরদৌস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন