মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করতে হবে

ছবি : বণিক বার্তা

ড. রুশিদান ইসলাম রহমান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক। তিনি ১৬ বছর এ পদে কর্মরত ছিলেন। পেশাজীবনের শুরুতে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও ছিলেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় বেকারত্ব, শ্রমবাজার ও দারিদ্র্য, শিক্ষা ও শিল্পায়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন ইত্যাদি। সম্প্রতি মে দিবসের তাৎপর্যের আলোকে শ্রমবাজার ও শ্রমিকদের জীবনমান নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবরিনা স্বর্ণা

বাংলাদেশের শ্রমবাজারের প্রধান সমস্যাগুলো কী?

শ্রমিকদের যে আন্দোলনের স্মরণে আমরা মে দিবস পালন করি তা ছিল অত্যধিক শ্রমঘণ্টা খাটুনির প্রতিবাদে। তারপর সভ্যতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে। কাজেই শ্রমবাজারের পরিস্থিতিও উন্নততর হচ্ছে এবং আরো হবে সেটাই প্রত্যাশা। সেই পটভূমিতেই চিহ্নিত করতে হবে উন্নয়নশীল দেশের এবং বিশেষত বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সমস্যাগুলো। বাংলাদেশে শ্রম আয়ের ওপর নির্ভরশীল বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন মানসম্মত কর্মসংস্থান, যেখানে নানা রকম ঘাটতি রয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কম ছিল। ফলে প্রচুর কর্মক্ষম মানুষ উপার্জন কাজের বাইরে থাকছে। পাঠ্যবইয়ের সংজ্ঞাভিত্তিক উন্মুক্ত বেকারত্ব হার খুব বেশি নয়। কিন্তু আংশিক বেকারত্ব, কম শ্রমঘণ্টা কাজ, নিরুৎসাহিত হয়ে শ্রমবাজারে যোগ না দেয়া এসব বিষয় প্রকট এবং তার অর্থ এই যে তাদের কর্ম নিয়োজন থেকে দেশ, সমাজ ও পরিবার যে সুফল পেতে পারত তা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। কর্ম নিয়োজনে অনানুষ্ঠানিক ধরনের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। শ্রমশক্তিতে ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা ও অনুপাত নগণ্য। বিগত দুই দশকে প্রকৃত মজুরির মোট বৃদ্ধি সামান্য। কিছু কিছু খাতে কোনো কোনো সময়ে প্রকৃত মজুরি হ্রাস পেয়েছে। এসব ঘাটতির পেছনে কাজ করছে অপ্রতুল কর্মসংস্থান। সরবরাহের দিকে শ্রমশক্তির নিয়োগযোগ্যতা বৃদ্ধি আর চাহিদার দিকে উচ্চ উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান যুগপৎভাবে হতে হবে, যা ততটা দৃশ্যমান নয়।

কেন দেশে আনুষ্ঠানিক শ্রমবাজার গড়ে উঠছে না?

বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরেই এ দেশে মোট কর্মসংস্থানের মাত্র ১৫ শতাংশ হয়েছে আনুষ্ঠানিক ধরনের। মোট কর্মসংস্থানের বড় অংশ কৃষি খাতে। ৯৭ শতাংশ কর্মসংস্থান অনানুষ্ঠানিক। কারণ পারিবারিক চাহিদাভিত্তিক কৃষিতে এটাই প্রচলিত প্রথা। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, শিল্প খাতেও ৯০ শতাংশ নিয়োজন অনানুষ্ঠানিক এবং অনেক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানও এ রকম নিয়োজন দিয়ে থাকে। এটা সম্ভব হয় এজন্য যে চাকরিপ্রার্থীরা তা মেনে নিচ্ছে। চাকরির সুযোগ পাওয়াই কঠিন এটা জেনে তারা অন্যান্য বিষয়, যেমন চুক্তিপত্র আছে কিনা, চাকরির শর্ত কী ধরনের—এসব বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয় না। শিক্ষার অভাব এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিক্ষিত শ্রমশক্তির মধ্যে আনুষ্ঠানিক নিয়োজন হার বেশি। কারণ তাদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা থাকে। অন্যদিকে শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়লে উৎপাদনশীলতা বাড়ে, কাজেই নিয়োগকারী আগ্রহী হয়ে থাকে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ দিতে।

দেশে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ শ্রমিকবান্ধব নয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কয়েকটি কনভেনশন না মানার অভিযোগও রয়েছে। শ্রমিকদের জীবনমান ও কর্মপরিবেশ উন্নত না করা হলে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর আমরা কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারি?

এলডিসি শ্রেণী থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের শ্রমবাজারে মজুরি, শ্রমিকদের জীবনমান ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের ওপর আন্তর্জাতিক মনোযোগ বেশি থাকবে। এলডিসি পর্যায়ে যেসব সুবিধা দেয়া হতো সেগুলোর পরিবর্তন হবে বা সেগুলোকে কর্মপরিবেশ উন্নতির সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। যেমন ইইউ দেশগুলো জিএসপি প্লাস সুবিধাসমূহ টেকসই উন্নয়নধারা ও শ্রমমান উন্নয়নের শর্তসাপেক্ষে রাখতে পারে। আইএলও সবসময়ই কর্মসংস্থানের মান বা ডিসেন্ট ওয়ার্ক বিষয়ে জোর দিয়েছে। সুতরাং রফতানি বাজার প্রসারে সাফল্যের জন্য এসব দিকে বাংলাদেশ সচেতন প্রয়াস নিচ্ছে কিনা তা সুস্পষ্ট হতে হবে। আর শুধু আন্তর্জাতিক চাপ কেন, এ উত্তরণের পর্যায়ে দেশের ভেতরেও সব পক্ষের সচেতনতা থাকবে। প্রত্যাশা থাকবে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের। 

শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্য সবসময়ই ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ বৈষম্য প্রকট রূপ ধারণ করছে এবং ক্রমেই বেড়ে চলছে। এর পেছনে কী কারণ রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস পেয়েছিল। সেই সময়ে শিল্প ও আধুনিক সেবা খাতের নিয়োজনে নারী-পুরুষ অনুপাত বেড়েছিল। মজুরি পার্থক্য কমে এসেছিল। কিন্তু ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব দিক থেকে অবনতি ঘটে। কর্ম নিয়োজিত নারীদের মধ্যে শিল্প খাতের অংশই শুধু হ্রাস পেয়েছে তা নয়, শিল্পে নিয়োজিত নারীর সংখ্যাও কমে গিয়েছে। কয়েকটি আধুনিক সেবা উপখাতেও নারী-পুরুষ অনুপাত কমেছে। লিঙ্গবৈষম্য হ্রাসের ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন এভাবে ধসে যেতে থাকাটা অবশ্যই রোধ করতে এমনভাবে উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে যেন উচ্চ উৎপাদনশীল আধুনিক উপখাতগুলোয় নারীর কর্মসংস্থান বাড়ে। নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য আসলে এসব খাতে মোট কর্মসংস্থান দ্রুততর করার কোনো বিকল্প নেই। ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শিল্প খাতে নিয়োজিত নারীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল শুধু কভিডজনিত অভিঘাতে নয়, শিল্পে পুঁজিঘনত্ব বৃদ্ধির ফলে সেখানে কর্মসংস্থানের শ্লথ ধারার কারণে। আর শ্রমের চাহিদা না বাড়লে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধি আশা করা যায় না। এ দেশে শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্যের কারণ স্বল্প পরিসরে পুরো ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তবু আরো একটি বিষয় সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। এ ধরনের বৈষম্য শুধু অর্থনৈতিক কারণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। তার পেছনে সামাজিক প্রথা ও ধ্যানধারণার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ দেশে বিরাজমান পিতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথায় পুরুষকেই প্রধান উপার্জনকারী মনে করা হয়, কাজেই তার শিক্ষায়ই বেশি বিনিয়োগ করা হয়। এতে উন্নত মানের নিয়োজন তাদের হাতে চলে যায়। একঘেয়ে কাজ, নিম্ন মজুরি ও নিম্ন দক্ষতার কাজে নারীর ডাক পড়ে। এভাবেই খণ্ডিত শ্রমবাজারে লিঙ্গবৈষম্য স্থায়ী হয়ে দাঁড়ায়। এখানে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের কিছু প্রভাব আছে। উচ্চতর শিক্ষা সমাপন হার পুরুষের তুলনায় নারী শ্রমশক্তির ক্ষেত্রে কম। কাজেই যেসব নিয়োজনে শিক্ষা ও দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে পুরুষ প্রাধান্য পায়।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ২০২২ সালের এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, শ্রমিক অদক্ষতায় দেশে উৎপাদনশীলতা কম। বর্তমানে শ্রমিকের দক্ষতা ও শ্রমের উৎপাদনশীলতার স্বরূপ কেমন, কীভাবে তা মজুরির ওপর প্রভাব ফেলে?

এটা অবশ্যই ঠিক যে এ দেশে শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা কম। তবে বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা ও তার হ্রাস-বৃদ্ধির প্রবণতা ভিন্ন। যেমন বিগত দুটি শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৭ ও ২০২২ সালের তথ্য থেকে দেখা যায় যে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প খাতে শ্রমিকপ্রতি উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। কোনো কোনো উপখাতে দক্ষ শ্রমিকের অনুপাত বেড়েছে। মোট শ্রমশক্তির মধ্যে একেবারে যাদের শিক্ষা নেই তাদের অংশ কমেছে। তা সত্ত্বেও প্রকৃত মজুরি বাড়েনি। এ খাতে এ সময়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়নি, তাই প্রচুর উদ্বৃত্ত শ্রমের এ দেশে প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধির চাপ ছিল না। অন্যদিকে কৃষিতে বিপুল জনশক্তি স্বনিয়োজন হিসেবে যোগ দিয়েছে অথচ মাথাপিছু উৎপাদনশীল সম্পদ বাড়েনি। সেখানে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে। কৃষিতে যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাড়ছে, এতে অদক্ষ শ্রমের চাহিদা কমেছে এবং মজুরি শুধু ভরা মৌসুম ছাড়া অন্য সময়ে বাড়েনি। 

দেশে মূল্যস্ফীতি ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু সে তুলনায় শ্রমিকদের আয় বাড়ছে না। অর্থাৎ আয়বৈষম্য বেড়েই চলছে। এ পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরতে সরকারের কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

মূল্যস্ফীতি রোধ করার জন্য যেসব সাধারণ কৌশল, সে বিষয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক সচেতন পদক্ষেপ নিচ্ছে, একটু দেরিতে হলেও। কাজেই সেগুলো এ আলোচনার মধ্যে আনছি না। এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত মজুরি ধরে রাখতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে হবে অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের প্রসার ঘটিয়ে। তবে তার সুফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। কাজেই এখন নিম্ন মজুরিতে নিয়োজিত শ্রমিকদের সহায়তা দিতে হবে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও দ্রব্যাদি সরবরাহ ব্যবস্থার মাধ্যমে। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যয় তাদের জীবনকে দুর্দশাগ্রস্ত করতে পারে, তাই তাদের জন্য সরকারি চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ সরবরাহ করার কৌশল গ্রহণ করতে হবে। যেসব এলাকায় মজুরি ও উপার্জন কাজের সুযোগ এত কম যে পরিবারের টিকে থাকা কঠিন হচ্ছে সেসব এলাকায় সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনী হিসেবে সাময়িক কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। যেসব খাতে সরকারি উদ্যোগে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়, সেখানে মজুরি স্তর নির্ধারণ করতে হবে পরবর্তী সংশোধনের আগে পর্যন্ত সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতিকে যোগ করে। মূল্যস্ফীতির হার উঁচু হলে এ বিবেচনা বেশি জরুরি। সাম্প্রতিক সময়ের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া হয়নি। 

শ্রমের উৎপাদনশীলতা, শ্রমিকের দক্ষতা ও জীবনমান বাড়াতে কোন ধরনের নীতি নেয়া প্রয়োজন?

কর্মসংস্থান ও মজুরি হার বাড়াতে শ্রমঘন অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ প্রসারের জন্য কৌশল নিতে হবে। এগুলোয় তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ও প্রাথমিক নতুন উদ্যোগ লালন ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল নিতে হবে এমনভাবে যেন তা চাহিদার সঙ্গে খাপ খায়। সরকারি-বেসরকারি সব প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেই চাহিদা নিরূপণ করে সেই পথে এগিয়ে যেতে হবে। আমার নিজের ও অন্যান্য গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে উদ্যোক্তারা দক্ষ শ্রমিকের অভাব আছে বলে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে সরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনকারীদের মধ্যে উচ্চ হারের বেকারত্ব দেখা যায়। অর্থাৎ দক্ষতার চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। শিক্ষানবিশির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। এ সবকিছুর জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। শ্রমিকের মজুরি বা বেতন নির্ভর করে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রমিকের চাহিদার প্রসার ঘটানোর এবং দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর। কাজেই এই দুদিকে মনোযোগ দিয়ে সামগ্রিক নীতিকৌশল গ্রহণ করতে হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে সামষ্টিক নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তার মধ্যে থাকতে হবে সুদহার এমন পর্যায়ে রাখা যেন অহেতুক পুঁজিঘনত্ব উৎসাহিত না হয় এবং উদ্যোক্তাদের উৎসাহ ধরে রাখা যায়। শ্রমিকের অধিকার বিষয়ে সব পক্ষের সচেতনতা জরুরি। কর্মপরিবেশ বিষয়ে নজরদারি থাকতে হবে। যারা নজরদারি করবে সেসব প্রতিষ্ঠানের ও ব্যক্তিদের এ বিষয়ে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন