গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া থেকে রাশিয়াকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিতে পারবে না বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিষ্ঠিত নাম রাশিয়া। গতকাল সুইজারল্যান্ডের লুজানে বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থার (ওয়াডা) কার্যনির্বাহী সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, এ বছরের জানুয়ারিতে এক তদন্তে ডোপিংয়ের তদন্তে রাশিয়ার বিপক্ষে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালেও রাশিয়ার অ্যাথলিটদের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ উত্তেজনাবর্ধক ড্রাগস নেয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছিল। ফল হিসেবে ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকসে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় রাশিয়া।
অ্যাথলিটদের বাঁচাতে ওয়াডার তদন্তকারী দলকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার দায়ে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ল্যাবরেটরিতে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে মস্কোর দেয়া তথ্যের সঙ্গে যথেষ্ট গরমিল পেয়েছে ওয়াডা। এছাড়া রাশিয়ার অনেক অ্যাথলিটের তথ্য মুছে দেয়ার প্রমাণও পেয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াডা। সংস্থাটির সভাপতি ক্রেইগ রিডি বলেছেন, ডোপিং নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই খেলাধুলার পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে রাশিয়া। অ্যাথলিটদের ভালোর জন্য তাদের পুনরায় সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা খারাপ পথটাকেই অনুসরণ করেছেন। তাই বাধ্য হয়েই এ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে ওয়াডাকে।’ এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ২০২২ সালে বেইজিংয়ে আয়োজিত শীতকালীন অলিম্পিকেও অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া।
ওয়াডা জানিয়েছে, এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ২১ দিন সময় পাবে রাশিয়া। এর জন্য তাদের আবেদন করতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার সর্বোচ্চ আদালতে (কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস সংক্ষেপে সিএএস)।
এ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০২০ সালের ইউরোপিয়ান ফুটবল খেলতে পারবে রাশিয়া। কেননা ডোপ সংক্রান্ত বিষয়কে বড় অপরাধ বিবেচনা করে না ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা।
নিষিদ্ধ থাকলেও রাশিয়ার নিরপরাধ অ্যাথলিটদের অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে। নির্দোষ প্রমাণ করে নিরপেক্ষ পতাকা নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ২০১৬ অলিম্পিকেও অংশ নিতে পেরেছিলেন ক্রীড়াবিদরা। এবারো নিরপরাধী অ্যাথলিটরা সেই সুযোগ পাবেন বলেও জানিয়েছে ওয়াডা। বিবিসি