দীপাবলি ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ উৎসব কেন্দ্র করে অক্টোবরে দেশটির অর্থনীতি যতটা চাঙ্গা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল ততটা হয়নি। বরং দেশটির অর্থনীতি আগের প্রান্তিকের মতো বছরের শেষ প্রান্তিকেও শ্লথ প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর ব্লুমবার্গ।
বিভিন্ন খাতের পরিসংখ্যান দেশটির দীর্ঘ শ্লথ অর্থনীতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) ডিসেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো সুদহার কমাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে দেশটির অর্থনীতি এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৫ শতাংশের কম প্রবৃদ্ধি নিয়ে ছয় বছরের নিম্নে নেমে আসায় ব্যাংকটি চলতি বছর এরই মধ্যে ১৩৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কর্তন করেছে। এছাড়া জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও দেশটির প্রবৃদ্ধিতে শ্লথ ভাব বিরাজ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর এ প্রান্তিকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
ভারতের প্রধান প্রধান সেবা খাতের সূচক টানা দ্বিতীয় মাসে দেশটির অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার কথা বলছে। অক্টোবরে আইএইচএস মার্কিট ইন্ডিয়া সার্ভিসেস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ২ পয়েন্টে। সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৪৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট, যা ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে কম। অন্যদিকে একই সময়ে দেশটির কারখানাগুলোর পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সও (পিএমআই) কমেছে। অক্টোবরে উল্লিখিত খাত দুটির কম্পোজিট পিএমআই দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬ পয়েন্টে। সেপ্টেম্বরে তা ছিল ৪৯ দশমিক ৮ পয়েন্ট। উল্লেখ্য, কোনো দেশের পিএমআই ৫০ পয়েন্টের বেশি হলে সংশ্লিষ্ট অর্থনীতি সম্প্রসারিত এবং কম হলে সংকুচিত হয়েছে বলে ধরা হয়।
অক্টোবরে দেশটির রফতানিতেও মন্দা ভাব দেখা গেছে। এ সময় অর্থনীতিটি বছরওয়ারি হিসাবে ১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। তবে অক্টোবরে দেশটির রফতানি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। আগের মাসে দেশটির রফতানি কমেছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
দীপাবলি কেন্দ্র করে ভারতের ভোক্তা খাত, বিশেষত খাদ্য ও উপহারসামগ্রী খাত চাঙ্গা হয়ে উঠলেও এবার তা অতটা হয়নি। অক্টোবরে দেশটির বাজারে ফুটবল বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক অব আমেরিকা মেরিল লিঞ্চের বিশ্লেষকরা।
এদিকে বছরওয়ারি হিসাবে অক্টোবরে দেশটির গাড়ি বিক্রি কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অক্টোবর নিয়ে টানা ১২ মাস গাড়ি বিক্রি কমেছে ভারতের। তবে সেপ্টেম্বরে দেশটির এ খাতের বিক্রি ৩৩ শতাংশ কমেছিল বলে জানিয়েছে সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স। অন্যদিকে বছরওয়ারি হিসাবে অক্টোবরে টু-হুইলার বিক্রি কমেছে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে একই সময়ে ট্রাক বিক্রি কমেছে ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
উল্লিখিত খাতগুলোর পাশাপাশি একই সময়ে দেশটির ব্যাংকগুলোর ঋণদানও দুই বছরের নিম্নে নেমে এসেছে। কোম্পানিগুলোর চাহিদা কমায় এমনটা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সুদহারে ব্যাংকগুলোর ঋণদানে অনিচ্ছাও অক্টোবরে তা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমার অন্যতম কারণ।
এদিকে সেপ্টেম্বরে দেশটির কারখানা উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ, যা আট বছরের নিম্নে। মূলধনি পণ্যের উৎপাদনের বড় পতন সেখানকার কারখানা উৎপাদনকে 
