মুডি’সের প্রতিবেদন

ইরাক সরকারের ঋণ পরিশোধে বাধা দুর্বল শাসন ব্যবস্থা

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিভিন্ন সরকারি সংস্থার দৈন্য দুর্বল শাসন ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ইরাক সরকারের ঋণ পরিশোধ সক্ষমতা কমাচ্ছে বলে জানিয়েছে রেটিং সংস্থা মুডি ইনভেস্টরস সার্ভিস। খবর সিএনবিসি।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জগুলো দেশটির সরকারেরদেশী বিদেশী সমস্যামোকাবেলার সক্ষমতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়া ওইসব কারণে দেশটির প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে একই প্রতিবেদনে।

দেশটির বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে মুডিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক আলেকজান্ডার পারজেসি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে ইরাকের অগ্রগতি খুবই কম। প্রতিশ্রুত আইন প্রণয়নসহ সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা ছিল, সেসবের খুব অল্পই বাস্তবায়ন করতে পেরেছে দেশটি।

মুডি ইরাকের সার্বভৌম ঋণের ক্রেডিট রেটিং নির্ধারণ করেছেসিএএওয়ান কোনো দেশের রেটিংবিএএথ্রিরনিচে হলে সংশ্লিষ্ট দেশটির ক্রেডিট প্রোফাইল সাব-ইনভেস্ট গ্রেড বাজাঙ্কহিসেবে চিহ্নিত হয়। এদিকে রেটিংসিএএহওয়া মানে সংশ্লিষ্ট দেশের ঋণ পরিশোধ ক্ষমতা খুবই দুর্বল এবং ঋণ ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশের আর্থিক অবস্থা নির্ধারণের জন্য মুডিসের কয়েকটি রেটিং ক্যাটাগরি রয়েছে।

ক্রেডিট প্রোফাইল দুর্বল হলেও গত বছর দেশটির আর্থিক পরিসংখ্যানে উন্নতি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে মুডিস। তবে তা জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের কারণেই সম্ভব হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি নানামুখী রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। অন্যদিকে নিজেদের অর্থনীতি বহুমুখী করতে গত বছরগুলোয় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপেও তেমন একটা সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছে একই প্রতিবেদন। মুডিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাজুক অবকাঠামো খাত, অকার্যকর ব্যাংক ব্যবস্থা, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ, দক্ষ শ্রমিকের অভাব এবং লাগামহীন দুর্নীতির কারণে দাঁড়াতে পারেনি দেশটির তেলবহির্ভূত শিল্প খাত।

এদিকে ২০১৮ সালে দেশটির নমিনাল মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ২২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। এতটা নমিনাল জিডিপি নিয়ে ওই বছর দেশটি মধ্যপ্রাচ্য উত্তর আফ্রিকার অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়। তবে একান্তভাবে জ্বালানি শিল্পের কারণে তা সম্ভব হয়েছে। একই বছর দেশটির নমিনাল জিডিপির ৪৫ শতাংশ এসেছে শিল্প থেকে। অন্যদিকে দেশটির রফতানি বাণিজ্য বলতে সর্বৈবভাবে জ্বালানি তেলকেই বোঝায়।

সমস্যা হলো, মধ্যপ্রাচ্য উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় ইরাকের অর্থনীতি তুলনামূলক বড়, গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক গ্যাসসমৃদ্ধ উচ্চ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাময় হওয়া সত্ত্বেও দেশটির অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গে প্রতিবেদনটি বলছে, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণের শ্লথগতি অনেক বছর সংঘর্ষকবলিত থাকার দরুণ প্রত্যাশিতভাবে দেশটির উৎপাদনক্ষমতা বাড়েনি।

ওপেকভুক্ত দেশগুলোর ১২ শতাংশ জ্বালানি তেলের মজুদ রয়েছে ইরাকে, যা বৈশ্বিক মোট জ্বালানি তেলের মজুদের শতাংশের সামান্য বেশি। বর্তমান হারে আগামী ৮৭ বছর দেশটি তেল উত্তোলন করতে পারবে বলে জানিয়েছে মুডিসের প্রতিবেদন।

জ্বালানি তেলের মজুদের দিক থেকে ইরাকের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। ভেনিজুয়েলা, সৌদি আরব, কানাডা ইরানের পরই দেশটির অবস্থান। তবে দীর্ঘদিন যুদ্ধকবলিত থাকায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মুখে দেশটি নিজেদের হাইড্রোকার্বন সম্পদ থেকে আশানুরূপ লাভবান হওয়ার বদলে শোষিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মুডিস। 

মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো ইরাকের অর্থনীতিরও সমূহ ক্ষতি করেছে। বিশেষত হরমুজ প্রণালি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার কারণে দেশটির ক্রেডিট প্রোফাইলে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। অন্যদিকে বেকার সমস্যা, সরকারি সেবার ব্যর্থতা, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিসহ নানা ইস্যুতে কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে সেখানে। বিক্ষোভে প্রাণ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন