বাণিজ্য নিয়ে দুই পক্ষের উদ্বেগের বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে উভয় পক্ষ সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিয়ু হি। চলমান চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানা নিজেদেরসহ সারা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। খবর সিএনবিসি।
চলমান বাণিজ্য আলোচনায় চীনের প্রধান বাণিজ্য প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী। দেশটির দক্ষিণপূর্ব চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানছাংয়ে একটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সম্মেলনে তিনি বলেন, অনেক বিষয়ে আমাদের আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের মধ্যে আলোচনার প্রথম ধাপে উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি হয়েছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের রাশ টেনে ধরলে তা চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও পুরো বিশ্বের জন্য মঙ্গলজনক হবে। উৎপাদক ও ভোক্তারাও এমনটি চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাণিজ্যযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটাতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে একটি সীমিত চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির দুই পরাশক্তির বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক বাজার স্তিমিত ও প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক সমঝোতার পর একটি লিখিত চুক্তি করতে কাজ করছে দুই পক্ষ। তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত তিন দশকের সর্বনিম্ন। বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে কারখানা উৎপাদন ও বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশটির প্রবৃদ্ধি কমেছে।
নিজেদের অর্থনৈতিক পুনর্গঠন চাঙ্গা করতে চীন প্রধান প্রযুক্তি খাতগুলোয় বিনিয়োগ বাড়াবে বলে জানান লিয়ু। অন্যদিকে দেশটির অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এখনো বেশ উজ্জ্বল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পমেয়াদে আমাদের অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়া নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। চলতি বছর আমাদের সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী। চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি সারা বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অন্যের পরিপূরক। কেবল সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতেই আমাদের মূল সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যাবে। একটি অনুকূল বাণিজ্য পরিবেশ তৈরি করতে এবং উভয় পক্ষের সাধারণ লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য আমাদের মিলেমিশে কাজ করতে হবে।
এদিকে গত সপ্তাহে একটি সম্ভাব্য চুক্তিতে সম্মত হওয়ায় দুই দেশের শুরু করা শুল্কারোপের ক্ষতি কমবে বলে পূর্বাভাস করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
