জায়ান্ট পাবলিক করপোরেশনগুলো আমেরিকার অর্থনীতির অন্যতম মূলভিত্তি। এসব কোম্পানির সদর দপ্তর দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতি বছর আয়ের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এক হাজার সর্ববৃহৎ মার্কিন কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করে ফরচুন। এবারের তালিকাটি ২০১৮ অর্থবছরের রাজস্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। আলাস্কা, মন্টানা, নিউ মেক্সিকো, সাউথ ডাকোটা, ভার্মন্ট, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ওয়াইমিং— এ সাতটি ছাড়া বাকি সব রাজ্যে ফরচুনের তালিকায় থাকা শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সদর দপ্তর রয়েছে। আয় ও কর্মী সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে বড় কয়েকটি মার্কিন কোম্পানির তালিকা নিম্নে দেয়া হলো: (গতকালের প্রকাশের পর, শেষ পর্ব)
আইওয়া
প্রিন্সিপাল ফিন্যান্সিয়ালের সদর
দপ্তর ডি মোইনয়ে। আর্থিক সংস্থাটির আয় ছিল ১ হাজার ৪২০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা
১৬ হাজার ৪৭৫।
কানসাস
স্পিরিট অ্যারোসিস্টেমস হোল্ডিংসের
সদর দপ্তর উইচিতায়। অ্যারোস্পেস ম্যানুফ্যাকচারারটির আয় ছিল ৭২০ কোটি ডলার এবং
কর্মী সংখ্যা ১৭ হাজার।
কেন্টাকি
হিউম্যানার সদর দপ্তর লুইসভিলে। হেলথ
ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটির আয় ছিল ৫ হাজার ৬৯০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৪১ হাজার
৬০০।
ওয়াশিংটন
অ্যামাজনের সদর দপ্তর সিয়াটলে। ই-কমার্স
জায়ান্টটির আয় ছিল ২৩ হাজার ২৯০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০।
টেক্সাস
এক্সন মোবিলের সদর দপ্তর ইরভিংয়ে।
এনার্জি জায়ান্টটির আয় ছিল ২৯ হাজার ২০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৭১ হাজার।
মেরিল্যান্ড
লকহিড মার্টিনের সদর দপ্তর
ওয়েস্টব্রুকে বেথেসদা। প্রতিরক্ষা ঠিকাদার কোম্পানিটির আয় ছিল ৫ হাজার ৩৮০ কোটি
ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার।
ম্যাসাচুসেটস
জেনারেল ইলেকট্রিকের সদর দপ্তর বোস্টনে। শিল্প সংস্থাটির আয় ছিল ১২ হাজার ৩০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ২ লাখ ৮৩ হাজার।
মিশিগান
ফোর্ড মোটরের সদর দপ্তর ডিয়ারবর্নে।
গাড়ি নির্মাতাটির আয় ছিল ১৬ হাজার ৩০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার।
নেব্রাস্কা
বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সদর দপ্তর
ওমাহায়। ওয়ারেন বাফেটের সংস্থাটির আয় ছিল ২৪ হাজার ৭৮০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা
৩ লাখ ৮৯ হাজার।
নিউ জার্সি
জনসন অ্যান্ড জনসনের সদর দপ্তর নিউ
ব্রান্সউইক। ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিটির আয় ছিল ৮ হাজার ১৬০ কোটি ডলার এবং কর্মী
সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১০০।
নিউইয়র্ক
জেপি মরগান চেজের সদর দপ্তর নিউইয়র্ক
সিটিতে। ব্যাংকটির আয় ছিল ১৩ হাজার ১৪০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ২ লাখ ৫৬ হাজার
১০৫।
নর্দান ক্যারোলাইনা
ব্যাংক অব আমেরিকার সদর দপ্তর
শার্লটে। ব্যাংকটির আয় ছিল ১১ হাজার ৬০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ২ লাখ ৪
হাজার ৪৮৯।
অরেগন
নাইকের সদর দপ্তর বেভারটনে। অ্যাপারেল
জায়ান্টটির আয় ছিল ৩ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৭৩ হাজার ১০০।
টেনেসি
ফেডেক্সের সদর দপ্তর মেমফিসে। প্যাকেজ
ডেলিভারি জায়ান্টটির আয় ছিল ৬ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার এবং কর্মী সংখ্যা ৩ লাখ ৫৯
হাজার।