পানি বাড়লেও খোলা হচ্ছে না কাপ্তাই হ্রদের জলকপাট

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কৃত্রিম এ জলাধারে বুধবার প্রায় ১০১ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকলেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত তা দাঁড়িয়েছে ১০৪ এমএসএল-এ। বৃষ্টিপাত, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে পানি নেমে এলেও আপাতত হ্রদে সংরক্ষিত পানি বাঁধ দিয়ে কর্ণফুলী নদীর অন্য অংশে নিঃস্বরণের কথা ভাবছে না কর্তৃপক্ষ। হ্রদে পানি বাড়লেও কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে দেশের এক মাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

এদিকে কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার রীংক্ষ্যং নদী, জুরাছড়ির শলক নদ, বাঘাইছড়ির কাচালং, লংগদুর মাইনী, নানিয়ারচরের চেঙ্গী এবং বরকলের কর্ণফুলী নদীতে পানিপ্রবাহ বাড়ছে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি সংরক্ষণ বা আটকে রাখার কারণে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে পানি ধীরে নামছে। এতে করে বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গতকাল দুপুর পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানি ছিল ১০৪ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে পানি ধারণ সক্ষমতা রয়েছে ১০৯ এমএসএল। এখনো প্রায় ৫ এমএসএল পানি কম রয়েছে। আপাতত কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়া বা নির্গমণের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। গত বছর ১০৮ এমএসএল পানি হওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্প্রিলওয়ে খুলে দেয়া হলেও এবার পানিপ্রবাহ গত বছরের মতো নেই।’

কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ প্রকৌশলী বলেন, ‘আপাতত বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরটির পাঁচটি ইউনিট সচল। গড়ে ৪০ ইউনিট করে সর্বোচ্চ ২০১৫-১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বর্তমান অবস্থায় হ্রদে পানি আরো বাড়লেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর সুযোগ নেই।’

কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ সক্ষমতা ও বাঁধের জলকপাট খুলে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এবং কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে হ্রদে পানি রয়েছে ১০৪ এমএসএল। এখনো পানি ধারণা ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। আপাতত পানি ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন