কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি

আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত মঙ্গলবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালত সূত্র বিষয়টি গতকাল নিশ্চিত করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহমেদও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তদন্তে ৪১ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তাদের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শিডিউলভুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতকে অনুরোধ করা হয়েছে।

মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আশরাফুজ্জামান সুজন, জাহানারা বেগম, আজেরা খাতুন, পিঞ্জিরা খাতুন আমির হোসেন।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এনআইডি জালিয়াতির ঘটনাটি প্রথম উঠে আসে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে। পরে উঠে আসে জড়িতদের নাম। একটি পরিবার কুষ্টিয়ার মজমপুরে ২২ শতক জমির মালিক সেজে মাত্র ৭৭ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। ওই পরিবারের সবাই নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে অন্যের জমির মালিক বনে যান। ওই জমির প্রকৃত মালিক শহরের থানাপাড়ার বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ তার শরিকরা। ঘটনায় ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করে। মামলায় উঠে আসে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউলের নাম।

জমা দেয়া চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষীদের ১৬১ ধারায় জবানবন্দি এবং ১৫ আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে ৪১ জনের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার বাদী এমএম ওয়াদুদ জানান, প্রায় চার বছর লেগেছে মামলার চার্জশিট দিতে। চার্জশিটে কী বলা হয়েছে তা এখনো তিনি দেখেননি বলে জানান।

তবে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল জানান, মামলার সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

রবিউল তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, রবিউল, তার স্ত্রী সন্তানদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পরিষদে থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন