কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ভাঙন, ব্যবস্থার দাবিতে পাউবো অফিস ঘেরাও

শুভব্রত আমান, কুষ্টিয়া

ছবি : বণিক বার্তা

পদ্মার অব্যাহত ভাঙন থেকে কয়েকটি গ্রাম ও ফসলি জমি রক্ষায় কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যালয় ঘেরাও করেছেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন তারা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পদ্মাপারের ছয়টি গ্রামের বাসিন্দারা কার্যালয়টি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, মিরপুর উপজেলার হলবাড়িয়া, বারুইপাড়া, তালবাড়িয়া, খাদিমপুর, সাহেবনগর, মির্জানগর ও ঘোড়ামারার কয়েকশ বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক। এটিও যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে নদীগর্ভে।

পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ অনুপাত করে সাহেবনগর বেড়িবাঁধসহ ভাঙনকবলিত এলাকায় গতকাল সন্ধ্যা থেকেই জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণকাজ।’ রাশিদুর রহমানের এ ঘোষণার পর এলাকাবাসীও স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন ঠেকাতে কাজ করার ঘোষণা দেন।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছরে নদীগর্ভে শত শত একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় গ্রিডের ছয়টি বিদ্যুৎ সঞ্চালনের টাওয়ারসহ বসতবাড়ি ও স্কুল-কলেজ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী-মহাসড়ক থেকে নদী ৫০ মিটার দূরে চলে এসেছে। সড়কটিও যেকোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘নতুন সমস্যা তৈরি করেছে টানা বর্ষণ। বৃষ্টিতে নদীর পানি ২-৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ওই এলাকায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার ও বেড়িবাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি পার করে দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানে নেয়া প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন