কুড়িগ্রামে জিও ব্যাগ দিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না নদীভাঙন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে দুধকুমারের শাখা নদী কালজানি। চার মাস ধরে নদীর তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের তিন শতাধিক ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) যোগাযোগ করেও প্রতিকার পায়নি নদীতীরের বাসিন্দারা। নিজেদের অর্থে  জিও ব্যাগ ফেলেছে তারা। তবু রোধ করা যাচ্ছে না ভাঙন।

নদীতীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন রোধে সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় নিজ উদ্যোগে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন তারা। বারবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি। তাদের এ চেষ্টার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা পেলে বন্ধ হবে ভাঙন। এতেই রক্ষা পাবে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি। গত চার মাসে দুধকুমারসহ ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেবে সরকার, এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।

উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা এলাকার মোমেন মিয়া বলেন, ‘নদীভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়ে অবশেষে নিজেরাই কাজ করছি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তায় বালি ভরে নদীতে ফেলছি। তার পরও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।’

একই এলাকার মনছের বলেন, ‘নিজেদের ঘরবাড়িসহ ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বস্তা দিলে ভালো হতো।’

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, ‘দুধকুমার নদে তিন মাস ধরে ভাঙন অব্যাহত। এরই মধ্যে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদে বিলীন হয়েছে। কয়েকশ হেক্টর ফসলি জমিও চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না গেলে সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, শিলখুড়ি এলাকায় দুধকুমারসহ অন্য নদ-নদীতেও ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা। সার্বিকভাবে কৃষিজমি ও সামান্য বাড়িঘরের জন্য কাজ করার অনুমতিও পাচ্ছেন না। সরকারি কোনো স্থাপনা হলে কিছুটা কাজের অনুমতি পান বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন