চোরাই জ্বালানি তেল ভাগাভাগি ও আধিপত্য নিয়ে সংঘাত

অরক্ষিত হয়ে পড়ছে রংপুর রেলস্টেশন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রংপুর

রংপুর রেলওয়ে স্টেশন ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

চোরাই জ্বালানি তেলের ভাগবাটোয়ারা এবং আধিপত্য নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে রংপুরে।  ৬ আগস্ট থেকে নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের খেরপাড়া এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ভৌগোলিকভাবে দুই এলাকার মাঝে রেলস্টেশনের অবস্থান হওয়ায় প্লাটফর্মটি সংঘাতের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। স্টেশনটিও অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের রক্ষায় রেল পুলিশের কার্যকর ভূমিকা না থাকার অভিযোগ করেছে খোদ রেল কর্তৃপক্ষ। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে সংঘর্ষ চলাকালে স্টেশনে আসা ট্রেন নিরাপদ স্থানে থামানো হচ্ছে।

রংপুর রেলের সুপারিনটেনডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) শংকর গাঙ্গুলী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য রেলের প্লাটফর্ম বাইরের সংঘর্ষের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকদিন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, রেলওয়ে পুলিশ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছে না। বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি। সংঘর্ষে রেলস্টেশন ভবনের চারটি গ্লাস, দুটি সিসি ক্যামেরা এবং বেশকিছু চেয়ার ভেঙেছে। শুনেছি কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি।

তবে রংপুর রেলওয়ে পুলিশের এএসআই মমিনুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমাদের সদস্যরা সাধ্যমতো যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য কাজ করেছেন।’

তাজহাট থানার ওসি হোসেন আলী বলেন, ‘স্টেশন এবং প্লাটফর্ম এলাকায় সংঘর্ষের সময় রেল পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করলে রেলের সম্পত্তি এবং যাত্রীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কীভাবে দুই পক্ষের মধ্যে আপস করা যায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন