কোপা আমেরিকায় গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় কোয়ার্টার ফাইনালে
যেতে ড্র-ই যথেষ্ট ছিল একুয়েডরের। অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে আজকের
ম্যাচে জিততেই হতো মেক্সিকোকে। এমন সমীকরণে খেলতে নেমে একুয়েডরকে হারাতে পারল না মেক্সিকো।
গোলশূন্য ড্র-তে ম্যাচ শেষ করেছে দুই দল। এতে মেক্সিকোর কাছ থেকে এক পয়েন্ট আদায় করে
মোট ৪ পয়েন্ট নিয়ে বি-গ্রুপের রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে লাতিন দল একুয়েডর।
কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ এখন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। স্বভাবতই
বলা যায় একুয়েডরের পরের যাত্রাটা কঠিনই হতে চলছে। অপরদিকে সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও গোলব্যবধানে
পিছিয়ে থাকার কারণে বিদায় নিতে হয়েছে মেক্সিকোকে।
একই গ্রুপ থেকে জ্যামাইকার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে গ্রুপ
চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভেনেজুয়েলা শেষ আটে নাম লিখিয়েছে। নকআউট পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ কানাডা।
গোল ব্যবধানে একুয়েডর এগিয়ে ছিল ৪-১ এ। ভেনেজুয়েলার কাছে ২-১ ব্যবধানে হারলেও জ্যামাইকাকে
৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল তারা।
অ্যারিজোনায় পুরো আক্রমণে কিছুটা এগিয়ে ছিল মেক্সিকো।
বল দখলে ছিল ৫৪ শতাংশ। শটও নিয়েছে ৭টি। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে ভুগতে হয়েছে তাদের।
প্রথমার্ধের শেষ দিকেই সেরা সুযোগ আসে এল ত্রাইদের। সান্তিয়াগো জিমিনেজ হেড করলেও সেটা
চলে যায় বারের ওপর। একুয়েডরের সেরা সুযোগটি ছিল ১৯ মিনিটে। ফ্রি কিক থেকে কেন্দ্রি
পায়েজ কাছের জালে শট নিলেও সেটা সেভ করেছেন হুলিও গঞ্জালেস।
তবে ম্যাচের শেষের দিকে দেখা যায় নতুন নাটকীয়তা। বিপজ্জনক
অঞ্চলে একুয়েডরের ফেলিক্স তোরেস গুইলের্মো মার্টিনেজকে ফাউল করেছেন ভেবে পেনাল্টির
সিদ্ধান্ত দেন রেফারি মারিও এসকোবার। সম্ভাব্য জয়ের কথা ভেবে মেক্সিকান দর্শকরা মুহূর্তেই
আনন্দে ফেটে পড়েছিলেন। কিন্তু মুহূর্তেই উবে যায় সেসব। ভার রিভিউতে দেখা যায় চ্যালেঞ্জের
সময় বলে স্পর্শ ছিল তোরেসের। তাই পেনাল্টির সিদ্ধান্তও বদলে যেতে সময় লাগেনি।
সর্বশেষ পাঁচ কোপায় চারবার গ্রুপ পর্ব পার হতে ব্যর্থ
হয়েছে মেক্সিকো। এ ব্যর্থতায় বিপদেই পড়তে পারেন মেক্সিকো কোচ লোজানো। দলটি কাতার বিশ্বকাপেও
গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল।