ঘূর্ণিঝড় বেরিলের কারণে বার্বাডোজে আটকা পড়েছে দুই ফাইনালিস্ট দল

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি: এপি
Default Image

ঘূর্ণিঝড় বেরিলের কারণে বার্বাডোজে আটকা পড়েছে বিশ্বকাপ ফাইনালিস্ট দল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। সেই সঙ্গে আইসিসির কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সমর্থকরাও অনেকে সেখানে আটকা পড়েছেন।

 

গত ২৯ জুন ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। শনিবার রাতভর উৎসব চলে ভারতীয় শিবিরে। বিপরীত পাশে ছিল রাজ্যের বিষণ্নতা। প্রোটিয়ারা অত্যন্ত কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয় শিরোপা জিততে। আনন্দ আর বিষাদকে সঙ্গী করে দুই দল যখন বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব, তখনই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছড়ে পড়েছে হারিকেন বেরিল।

 

ঝড় ও প্রবল বৃষ্টির জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে সেখানকার প্রশাসন। এই কারণে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর সেখানেই আটকে রয়েছেন রোহিত, বিরাট কোহলিরা, সেই সঙ্গে এইডেন মার্করামের দলও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দুই দলের সেখান থেকে রওনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে—বার্বাডোজ় থেকে ভারতীয় দলের বিমানে নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। সেখান থেকে দুবাইয়ে। তার পর মুম্বাইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিতেন রোহিত, কোহলিরা। কিন্তু এখন পরিস্থিতির কারণে সূচিতে বদল করতে হচ্ছে। গোটা দলকে চার্টার্ড বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে কবে রোহিতেরা রওনা হবেন, তা জানা যায়নি।

 

সিবিএসের খবরে বলা হয়েছে—১৯৬৬ সালের জুনের পর এই প্রথম ‘ক্যাটাগরি ফোর’ হারিকেন হানা দিচ্ছে বার্বাডোজে। ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সেন্ট ভিনসেণ্ট, গ্রেনাডা, ডমিনিকা, সেন্ট লুসিয়া এসব দ্বীপরাষ্ট্রের হারিকেনের সঙ্গে বলতে গেলে প্রতি বছরই দেখা হয়। কখনো একাধিকবার। এবার বার্বাডোজ আক্রান্ত। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ মাইল হতে পারে। সঙ্গে ৮/৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস।

 

আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে (স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা) বার্বাডোজ থেকে ১৫০ মাইল দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছিল বেরিল। হারিকেনের আঘাত হানার কথা বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া, গ্রেনাডা, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনস এবং টোবাগোয়। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস অতিক্রম করার কথা বেরিলের। এরপর সোমবার রাত ও মঙ্গলবার এটি দক্ষিণ পূর্ব ক্যারিবিয়ান অঞ্চল পাড়ি দেবে।

 

মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপ থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বেরিল, যা এই অঞ্চলের জন্য নজিরবিহীন ঘটনা।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন