২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাবির বাজেট

বেতন-ভাতায় ব্যয় ৬৫ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় ১ শতাংশের কম

মেহেদী মামুন I জাবি

ছবি : বণিক বার্তা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৪১তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আজ। নিয়মানুযায়ী এ অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩১৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রস্তাবিত মূল বাজেট সিনেটরদের অনুমোদনের জন্য পেশ করবেন। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত মূল বাজেটের প্রায় ৬৫ শতাংশ ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। অন্যদিকে মাত্র শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায়, যা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট।

প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত মূল বাজেটে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ ৭৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং পেনশন ও অবসর সুবিধা বাবদ রাখা হয়েছে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ দুই খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। গবেষণা ও উদ্ভাবনে ৭ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ খাতে গতবারের বাজেটের তুলনায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ শতাংশেরও কম। এছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে যন্ত্রপাতি খাতে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যানবাহন ক্রয় বাবদ শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাবদ শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ, অন্যান্য মূলধন জাতীয় ব্যয়ে শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাজেটে ছাত্র কল্যাণ তহবিলে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ খাতে রাখা হয়েছে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ। এছাড়া শিক্ষকদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দ থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়নি আলাদা কোনো বরাদ্দ। শিক্ষকদের গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। বাজেটে শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ না থাকায় একে শিক্ষার্থীবান্ধব বাজেট বলতে নারাজ শিক্ষার্থীরা।

এবারের বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গবেষণা ভাতা, নৈশ ভাতা ও ইন্টারনেট ভাতা খাতে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। তবে বিশেষ সুবিধা খাতে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৭ থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, ইভনিং-উইকেন্ড থেকে আয় অন্য বছরগুলোয় উল্লেখ না করা হলেও এ বছর তা উল্লেখ করা হয়েছে। এ খাতে প্রায় ২০ কোটি টাকার মতো আয় হলেও বাজেটে তা উল্লেখ করা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন