কুড়িগ্রামে ১৩২০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানিতে নিমজ্জিত পটোলখেত ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও নিমজ্জিত রয়েছে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন সবজিখেত। এছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়েছে বাদাম, আমন বীজতলা, আউশ ও পাটসহ বিভিন্ন ফসল। জেলায় ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে এর পরিমাণ আরো বেশি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ সবক’টি নদ-নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জেলার রাজারহাট, সদর উপজেলা, উলিপুর, ফুলবাড়ী, চিলমারীসহ নয়টি উপজেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। যদিও তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের পর আবার নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো নিমজ্জিত রয়েছে সবজি, চীনাবাদামসহ বিভিন্ন ফসলের খেত।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের ধরলা নদীর অববাহিকায় কয়েক একর জমির পটল খেত তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন সেখানকার কৃষক। পটোল তুলে কম দামে বিক্রি করছেন তারা।

সদর উপজেলার কুড়ারপাড়ের কৃষক মোকছেদ আলী জানান, ধরলার পানি বেড়ে কয়েক দিন ধরে পটোল খেত তলিয়ে রয়েছে। পানি থেকে পটল তুলে বিক্রি করছেন তিনি।

ভেলুর বাজারের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ ধরলা নদীর পানি বাড়ার কারণে আমার এলাকার সব সবজি খেত তলিয়ে গেছে। আমার দুই বিঘা জমির পটল তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি কয়েকদিন পর এলে আরো অনেক টাকার পটোল বিক্রি করতে পারতাম। এখন গাছগুলো মরে যাবে।’

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাটসংলগ্ন তিস্তার চরের কৃষক মজিবর জানান, তিস্তার চরে এবার বাদামের আবাদ বেশি হয়েছে। অনেকে বন্যার আগে বাদাম তুললেও যারা তুলতে পারেননি, তাদের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকেই পানিতে নিমজ্জিত বাদাম তুলে নিচ্ছেন। এবার বন্যার কারণে বাদাম চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার নয়টি উপজেলায় পটল, বাদাম, আমনের বীজতলা, পাটসহ প্রায় ১ হাজার ৩২০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে শুধু সবজি নিমজ্জিত রয়েছে ২০৭ হেক্টর। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় কিছু ফসল রক্ষা হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন