রংপুরে জিংকসমৃদ্ধ ধানের আবাদ বেড়েছে ১৬ শতাংশ

এস এম পিয়াল, রংপুর

রংপুরের তারাগঞ্জে জিংকসমৃদ্ধ ধানের প্রদর্শনী প্লট ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

রংপুরে এক বছরে ১৬ শতাংশ বেড়েছে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-৭৪ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানের আবাদ। চলতি মৌসুমে (২০২৩-২৪) জেলায় এ ধানের আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৭৩৬ হেক্টর বেশি। মূলত প্রণোদনা পাওয়া কৃষকরা এ ধানটি আবাদ করলেও ভালো ফলন হওয়ায় কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, জিংক ঘাটতির কারণে দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। স্বাভাবিক জীবনযাপনে নির্দিষ্ট পরিমাণ জিংক গ্রহণ অপরিহার্য। জিংকসমৃদ্ধ চাল দেহের খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখে।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় জিংকসমৃদ্ধ ধানের আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ব্রি-৭৪ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে। ব্রি-৮৪ ধান আবাদ হয়েছে ৫৯৫ হেক্টর এবং বঙ্গবন্ধু-১০০ আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ একর জমিতে জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-১০২ জাতের ধান আবাদ শুরু হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে জিংকসমৃদ্ধ ধানের আবাদ হয়েছিল ১৩ হাজার ৪৫৪ হেক্টর। এর মধ্যে ব্রি-৭৪ জাতের ধান আবাদ হয়েছিল ১২ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। ব্রি-৮৪ আবাদ হয়েছিল ৬৪২ হেক্টর এবং বঙ্গবন্ধু-১০০ আবাদ হয়েছিল ৪০২ হেক্টর জমিতে।

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জিংক হচ্ছে খনিজ লবণ। এর ঘাটতিতে শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। স্বাভাবিক জীবনযাপনে সবারই নির্দিষ্ট পরিমাণ জিংক গ্রহণ অপরিহার্য। জিংকসমৃদ্ধ চাল দেহের খনিজ লবণের ঘাটতি পূরণে ভূমিকা রাখে।’ তবে নিয়মিত জিংকসমৃদ্ধ ভাত না খেয়ে সপ্তাহে তিন-চারদিন খাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘নতুন জাতের ধান ছাড়করণের পর তা কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মাট পর্যায়ে ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৪ এবং বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধান কৃষকের কাছে কমবেশি জনপ্রিয় হয়েছে। তবে চলতি বছর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জিংকসমৃদ্ধ ব্রি-১০২ নামে আরো একটি জাত পরীক্ষামূলক ৩০ একর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন