সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাজেট প্রতিক্রিয়া

শিক্ষা, কৃষি ও পর্যটন খাত উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধি ইতিবাচক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I সিলেট

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সময়োপযোগী ও জনবান্ধব বলে মনে করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতারা। বাজেটে শিক্ষা, কৃষি ও পর্যটন খাত উন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তারা। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে বাজেট দেশ ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে বলেও মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও বাজেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে অভিনন্দনও জানানো হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি তাহমিন আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অর্থমন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এবারের বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ১১ দশমিক ১, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১০ দশমিক ২, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৬ এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকি ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমাতে খাদ্যপণ্যের উৎসে কর কমানো হয়েছে। শুল্ক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে, যা সরকারের জন্য ইতিবাচক দিক। ফলে চাল, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, লবণসহ প্রায় ২৭টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য পূরণে রাজস্বের আওতা বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে নিয়মিত কর প্রদানকারীদের চাপ কিছুটা কমবে বলে আমরা আশাবাদী।’

বাজেটে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে ৪৮ হাজার ১০৮ কোটি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে উপবৃত্তি এবং বয়স্কদের কল্যাণে বয়স্ক ভাতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সূচকে দেশের অগ্রগতি হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী সংগঠনের এ নেতা।

তাহমিন আহমদ বিবৃতিতে বলেন, ‘সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিতকরণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষি খাতের উন্নয়নে বাজেটে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কৃষকদের সার ও কীটনাশক সরবরাহে ভর্তুকির পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। এতে দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়বে। পর্যটনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে ২৫ বছর মেয়াদি পর্যটন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মহাপরিকল্পনাটি বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি বিস্তৃত রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করবে। এটি বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সাল নাগাদ জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান হবে ৪৭৭ কোটি ডলার। টেকসই ট্যুরিজম শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ট্যুরিজমের সঙ্গে জড়িত ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের নিবন্ধনের পাশাপাশি উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।’

এবারের বাজেট অতিরিক্ত বড় না করে জনকল্যাণমুখী করা হয়েছে। এবারের বাজেট গতবারের বাজেট থেকে ৪ শতাংশ বেশি, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন