![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_386225_1.jpg?t=1719536363)
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার পশু পালনে ব্যয় বেড়েছে খামারিদের। চাহিদার ৪ লাখ ৭ হাজার ৭৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকলেও কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। খামারিরা বলছেন, আগের তুলনায় গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। এছাড়া চলতি বছর তাপপ্রবাহে পশুর বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই দেখা দিয়েছে। চিকিৎসার জন্য বাড়তি ব্যয়ও করতে হয়েছে। প্রতিটি ষাঁড় পালনে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার ওপর। অথচ ক্রেতারা দাম বলছেন ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। দাম এমন থাকলে লোকসানে পড়তে হবে তাদের। তবে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের দাবি, পশু পালনে খরচ কিছুটা বেড়েছে। সে অনুপাতে দামও বেড়েছে। খামারিরা লাভবান হবেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৮৫০টি। বিপরীতে নয়টি উপজেলায় ৬ লাখ ২৪ হাজার ৯২৮টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৪ লাখ ৭ হাজার ৭৮টি পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে ষাঁড় ১ লাখ ৭৩ হাজার ১১০টি, বলদ ৩৩ হাজার ৬০৫, গাভী ১৫ হাজার ৭১৭টি। এছাড়া মহিষ ৩ হাজার ৬৮১টি, ছাগল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৫ ও ভেড়া ৬০ হাজার ৫৮০টি। প্রায় ১৭ হাজার খামারে এসব পশু পালন করা হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু সরবরাহ করা হবে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
ঈদ সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে দেশী, ভারতীয়, শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়ান, বাহামাসহ উন্নত জাতের গরু পালন করেছেন খামারিরা। এছাড়া তোতাপুরি, হরিয়ানা বিটোলসহ উন্নত বিভিন্ন জাতের ছাগলও রয়েছে খামারে। এরই মধ্যে বেপারিরা খামার থেকে পশু কিনতে শুরু করেছেন। তবে পশু পালনে ব্যয় বাড়ায় প্রত্যাশিত দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন খামারিরা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত সিরাজগঞ্জের পশুর চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। এবার ঈদে বিক্রির জন্য যেসব খামারি পশু পালন করেছেন, তাদের তদারক করা হচ্ছে। এ বছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে চার লক্ষাধিক পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যাবে।’