সাতক্ষীরার হিমসাগর আম

চলতি মৌসুমে ইউরোপে ৩০০ টন রফতানির লক্ষ্য

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাটকেখালী গ্রামে আম সংগ্রহের পর বাছাই করছেন চাষীরা ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার হিমসাগর আমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ২০১৫ সাল থেকেই ইউরোপে রফতানি হয়ে আসছে আম। চলতি মৌসুমে ইংল্যান্ড, সুইডেন ইতালিতে ৩০০ টন রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। গতকাল পর্যন্ত ৫০ টন রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, হিমসাগর ছাড়াও রফতানিযোগ্য আমের মধ্যে রয়েছে ল্যাংড়া, আম্রপালী গোবিন্দভোগ। চলতি মৌসুমে ৩০০ টন আম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত মৌসুমের তুলনায় ১৩০ টন বেশি। গত বছর সাতক্ষীরা থেকে ১৭০ টন আম রফতানি হয়েছিল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আম রফতানি বাড়াতে সরকার রফতানিযোগ্য উৎপাদন নামে একটি প্রকল্প নিয়েছে। প্রকল্পের অধীনে আমচাষীদের উন্নত প্রশিক্ষণ, উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি সরবরাহ, সার, সেচ ব্যবস্থা বালাইনাশক স্প্রেসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দেয়া হয় বিনামূল্যে। তাছাড়া রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি আম সংগ্রহ করতে পারে, সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

ঢাকার আম রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তাসিন এন্টারপ্রাইজের সহকারী ব্যবস্থাপক হযরত আলী জানান, ইউরোপের বাজারে সাতক্ষীরার হিমসাগর আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে সে অনুযায়ী আম সংগ্রহ করা মুশকিল। ইউরোপের বাজারে যে আম যায়, তা মানসম্মত হতে হবে। এসব আম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। চলতি বছর ইংল্যান্ড ইতালিতে আম রফতানি করছেন তিনি।

এর আগে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া দেবহাটা উপজেলার প্রায় ৩০০ চাষীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

রফতানিযোগ্য আমচাষী সদর উপজেলার গড়েরকান্দা গ্রামের সাইদুর রহমান জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তিন বছর ধরে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন করছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও ৫০ শতাংশ জমিতে ৫০টি হিমসাগর গাছ থেকে আম উৎপাদন করেছেন। এসব গাছে আট টন আম উৎপন্ন হলেও রফতানি হয়েছে তিন টন। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী তিন টন বিক্রির সুযোগ পেয়েছেন তিনি। প্রতি টন আম ৮৫-৯০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করেছেন। তবে গত মৌসুমের তুলনায় দাম ভালো পেয়েছেন। গত বছর পাঁচ টন আম বিক্রি করেন। যার দাম ছিল প্রতি টন ৬৫-৭০ হাজার টাকা। সে হিসাবে চলতি মৌসুমে আমের ভালো দাম পাওয়া গেছে। তবে অনাবৃষ্টি খরায় আম আকারে ছোট হয়ে যাওয়ায় রফতানির চাহিদা পূরণ হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন