বছরের প্রথম প্রান্তিক

১২% প্রবৃদ্ধিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্মার্টফোন বাজার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: ডিজিটাইমস

এক বছরের ব্যবধানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্মার্টফোন বাজার ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। সামগ্রিকভাবে সময় কোটি ৩৫ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, গত বছর স্মার্টফোন বাজারে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সংকট ছিল চলতি বছর তা অনেকটাই পুনরুদ্ধার হয়েছে।

বাজার গবেষণা সংস্থা ক্যানালিস প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। ক্যানালিসের একজন বিশ্লেষক শেং উইন চো বলেন, ‘যন্ত্রাংশের মজুদ থাকায় স্মার্টফোন উৎপাদনকারীরা ভালো সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া স্মার্টফোন ক্রয়ে ভোক্তাদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ বিক্রি বাড়াতে সহায়তা করেছে।

তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের শেষ দিকে স্মার্টফোন ভেন্ডররা তাদের মজুদ পরিস্থিতির উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর ফলে বিক্রিও বেড়েছে।

বাজার হিস্যার দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবার শীর্ষে ছিল স্যামসাং। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির বাজার হিস্যা ছিল ১৯ শতাংশ, তবে মোট বিক্রীত ডিভাইসের সংখ্যায় তা ২০ শতাংশ কমেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিক্রি কমার বিষয়ে পূর্বানুমান করা হয়েছিল। কেননা কোম্পানিটি সময় মিড-হাই সেগমেন্টে বেশি নজর দিয়েছিল। বিশেষ করে গ্যালাক্সি এস, এফাইভএক্স এথ্রিএক্স এদিক থেকে এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে এওয়ানএক্স, এটেনএক্স এটুএক্সের মাধ্যমে বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। কৌশলগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে প্রিমিয়াম সেগমেন্টেও স্যামসাংয়ের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ক্যানালিস প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ১৮ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ট্রানশন। সেই সঙ্গে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটি ১৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। শেং উইন চো জানান, মোবাইল গেমিং কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে কোম্পানিটি বিক্রি বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।

শাওমি অপো সম্মিলিতভাবে ১৬ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে শাওমি ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যেখানে অপোর প্রবৃদ্ধি শতাংশ কমেছে। সাশ্রয়ীমূল্যের এএক্স, সিএক্স সিরিজ মিড রেঞ্জে নোট সিরিজের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে চীনা কোম্পানি শাওমি।

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ২৮ লাখ ডিভাইস বিক্রির মাধ্যমে ১২ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে ভিভো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কোম্পানিটির বাজার হিস্যাও ১২ শতাংশ। ওয়াই সেভেনটিন এস থেকে শুরু করে ওয়াই ১০০ ভি সিরিজের মাধ্যমে বাজার হিস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে কোম্পানিটি।

ক্যানালিসের আরেক বিশ্লেষক জুয়ান চিউ বলেন, ‘১০০ ডলার সেগমেন্টে ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইনসের মতো মূল্যসংবেদনশীল বাজার পুনরুদ্ধার হয়েছে। উন্নত বৈশিষ্ট্যের ডিভাইস দাম হাতের নাগালে থাকায় ভোক্তারাও ডিভাইস পরিবর্তনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

ইনফিনিক্স, টেকনো আইটেলের মতো সাব ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ফিলিপাইনের বাজারে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে ট্রানশন। অন্যদিকে গ্যালাক্সি এস টোয়োন্টি ফোর বাজারজাতের মাধ্যমে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ভিয়েতনামে শীর্ষে ছিল স্যামসাং।

জুয়ান চিউ বলেন, ‘ক্যানালিসের পূর্বাভাস চলতি বছরের বাকি সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্মার্টফোন বিক্রি আরো শতাংশ বাড়বে। অধিকাংশ কোম্পানির মতে, নতুন নেটওয়ার্ক সংযোগের কারণে বিভিন্ন দেশের ভোক্তা পর্যায়ে ডিভাইস পরিবর্তনের স্বাভাবিক চক্র আরো গতি পাবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন