লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার নেপথ্যে দলীয় পদ বাণিজ্য, দাবি স্বজনদের

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর

ছবি : বণিক বার্তা

চন্দ্রগঞ্জে দলীয় পদ বাণিজ্যের আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন নিহতের মা বুলি বেগম। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। এ ঘটনায় ‘বিচার চাই’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠেছে পুরো চন্দ্রগঞ্জ এলাকা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান ওসি।

নিহতের মা বুলি বেগম ও স্বজনদের দাবি, ছাত্রলীগের পদের জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল সজীবের। টাকা নিয়ে তাদের মাঝে সম্প্রতি বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সজীবকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল কাজী বাবলু। কাজী বাবলু পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এম সজীবকে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হয়েছেন। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. এমদাদুল হক বলেন, এ ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজীবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।এতে আরো ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। একইদিন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দ্বিতীয় আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ঢাকা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে দলের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে চন্দ্রগঞ্জে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন