পথটা সহজ ছিল না জন সিনার

ফিচার ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

রেসলিংয়ের দুনিয়া থেকে কাউকে যদি তিন জনের নাম বলতে বলা হয়, নিঃসন্দেহে সেই তালিকায় থাকবে জন সিনার নাম। গত বিশ বছরের রেসলিং ইতিহাসে তিনি যেন গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক। রেসলিং থেকে যখন হলিউডে পা রেখেছেন, সেখানেও দুই হাতে কুড়িয়েছেন সফলতা। কিন্তু রেসলিংয়ের কথাই হোক কিংবা হলিউড, নিজেকে এ উচ্চতায় আনার পথটা সহজ ছিল জন সিনার জন্য।  

সম্প্রতি জন সিনা অতিথি হয়ে আসেন লেট শো উইথ স্টিফেন কোলবার্টে। সেখানে তিনি তুলে ধরেন পুরনো দিনগুলোর কথা। জন সিনা বলেন, ‘আমি ক্যালিফোর্নিয়ার এক গ্যারেজে বসবাস করেছি। পেশাদার রেসলিংকে নিয়েছিলাম শখ হিসেবেই। জানতাম না জীবন আমাকে কোন পথে নিয়ে যাবে। চেয়েছিলাম পুলিশ হবো। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না বলে কৃতকার্য হইনি। তারপর এক বন্ধু আমাকে রেসলিং প্রশিক্ষণ একাডেমিতে যোগ দিতে বললো।’

শৈশব থেকেই বডিবিল্ডিংয়ের দিকে ঝুঁক ছিল। পেছনে বড় কারণ ছিল বন্ধুদের আচরণ। তার সহপাঠী ও বন্ধুরা প্রায়ই তাকে নানা ভাবে বুলি করত। এমনকি তাকে কয়েক দফা মারধরও করা হয়েছে। এজন্য অন্য সব কিছুর চেয়ে নিজেকে শারীরিক ভাবে সক্ষম করে তুলতেই সব মনোযোগ নিবদ্ধ করেন। তার পরিণামও দেখা যায় দ্রুত। বয়স বিশ ছুতে না ছুতেই বডিবিল্ডিংয়ে তার ভালো অগ্রগতি হয়। 

২০০৬ সালের কথা। জন সিনা তখন ডব্লিউডব্লিউই চ্যাম্পিয়নশিপে কাজ করছেন। সেই সময়েই প্রস্তাব আসে ‘দ্য ম্যারিন’ সিনেমায় কাজ করার। খুব একটা সফলতা পায়নি বাণিজ্যিক দিক থেকে। তবে এটা তার জন্য রাস্তা তৈরি করে দেয় পরবর্তী সিনেমার। তার খ্যাতি অনন্য উচ্চতায় আসীন হয় ২০১৫ সালে করা ‘ট্রেনরেক’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। চলচ্চিত্র সমালোচকরা তার অভিনয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। তারপর আর তাকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি সিনেমায় বেশি সময় দেয়া শুরু করেন। রেসলিং হয়ে পড়ে খণ্ডকালীন পেশার মতো। তার হাত ধরে মুক্তি পায় এফ নাইন, ফাস্ট এক্স, দ্য সুইসাইড স্কোয়াড; তিনিও লাভ করেন খ্যাতি। ২০২২ সালে ডিসি ইউনিভার্সে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যেন ষোলো কলা পূর্ণ হলো; সেখানে ৮টি এপিসোডের জন্য তার আয় ছিল ৪০ লাখ ডলার। প্রখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের ধারণা অনুযায়ী, জন সিনার মোট সম্পদের পরিমাণ ২০২৩ সালেই ৮ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।  সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন