আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়াবিদরা। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার ভারতের পুনেতে চলমান ২৮তম সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরামের সম্মেলনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, সম্মেলনে আগামী মাসগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে এ অঞ্চলের শীর্ষ আবহাওয়াবিদরা একটি প্রাথমিক মতামত দিয়েছেন। সেটি হলো, উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব-অংশ বাদে,এ বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে। অধিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসটি এ অঞ্চলের নয়টি জাতীয় আবহাওয়া ও জলবিদ্যুৎ পরিষেবার প্রতিনিধিত্বকারী আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের দ্বারা যৌথভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ বর্ষায় বাংলাদেশের উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতেও বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বর্ষায় বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।
২৮তম সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরামের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল ব্যতীত আফগানিস্তান, ভুটানের অবশিষ্ট অঞ্চল এবং মিয়ানমারের বড় অংশে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক থাকবে।
সভায় বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে এ অঞ্চলের আবহাওয়া থেকে ‘এল নিনো’ দুর্বল হয়েছে। অন্যদিকে সক্রিয় হয়েছে ‘লা নিনা’। যার অর্থ হলো শিগগিরই এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত শুরু হবে।
বিশেষজ্ঞরা বিগত দুই বছরের মতো এবারও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে যে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তার প্রধান কারণ হিসেবে এল নিনোকে দায়ী করেছেন। এল নিনো সক্রিয় হলে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত একটি শুষ্ক রেখা তৈরি হয়। এর উল্টো অবস্থা হলো লা নিনা। এটি তৈরির সময় শুষ্ক রেখাটি উষ্ণ রেখায় পরিণত হয়। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি বেড়ে যায়।
ভারতে আবহাওয়াবিদদের সম্মেলনের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশে এবার বর্ষা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের তাপপ্রবাহের এলাকাগুলোতে এবার বৃষ্টিও বেশি হবে। সিলেট ও চট্টগ্রামে এবার তাপপ্রবাহের দাপট কম ছিল। সেখানে এবার বৃষ্টিও কম হতে পারে।