টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য শক্তিতে জোর দিতে হবে: পিটার হাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ক্লিন এনার্জি দিয়ে বাংলাদেশকে শক্তিশালী করা মানে আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা। এজন্য বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিতে জোর দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে ইন্দো-প্যাসিফিক বিসনেস ফোরাম (আইপিবিএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইন্দো-প্যাসিফিক বিজনেস ফোরাম।

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, আপনারা জানেন যে বিশ্বের জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহ সীমিত। আগামী বছরগুলোতে জীবাশ্ম জ্বালানির সরবরাহর সংকট হতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে টেকসই জ্বালানিতে স্থানান্তর হওয়ার জন্য পরিচ্ছন্ন এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর দিকে আগাতে হবে।

হাস আরো বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের জ্বালানি বাজারেও ধাক্কা দেয়। রাশিয়া বিশ্বকে দেখিয়েছে যে, নিজেদের অশুভ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তারা জ্বালানিকে জিম্মি করে রাখবে। তাই, সবাইকেই সম্পদের বৈচিত্র্যময় পোর্টফোলিওর ওপর ভিত্তি করে জ্বালানি ব্যবস্থা দৃঢ় করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের অভ্যন্তরীণ সরবরাহে বাংলাদেশ সুপ্রসন্ন। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশ সে সম্পদ ব্যবহার করে নিজেদের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করেছে। বাংলাদেশ শিগগিরই নতুন জায়গায় আরো গ্যাস খুঁজে পেতে পারে, এরপর সেগুলোও ফুরিয়ে যাবে। এরপর বিকল্প ব্যবস্থায় যেতেই হবে। সেজন্য নবায়নযোগ্য এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সম্পদের দিকেই জোর দিতে হবে। এটিই বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া এবং বিশ্বের জন্য জ্বালানি শক্তি স্থানান্তরের মূল চাবিকাঠি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন