নিঃসন্দেহে স্টিফেন কিংয়ের গল্পে নির্মিত অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য গ্রিন মাইল’। অভিনেতা টম হ্যাঙ্কসের ক্যারিয়ারেও স্মরণীয় একটি কাজ। মজার বিষয় হলো পল এসকম্বের চরিত্রে প্রথমে এ অভিনেতাকে ভাবা হয়নি। খবর স্ক্রিনরেন্ট।
বিখ্যাত ‘শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ সর্বকালের সেরা সিনেমা বিবেচিত হলেও এ অর্জনে পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলেন পরিচালক ফ্র্যাঙ্ক ডারাবন্ট। তিনি আবারো চাইছিলেন স্টিফেন কিংয়ের গল্পে কারাগারের আবহে কোনো সিনেমা বানাতে। সেটাই হলো ‘দ্য গ্রিন মাইল’, এবার গল্পে মেশালেন জাদু বাস্তুবতা।
মূল উপন্যাস একাধিক কিস্তিতে প্রকাশ হয়েছিল। স্টিফেন কিং কিছু পাঠকের কথা ভেবেই এ কাজ করেছিলেন। ওই পাঠকেরা সবসময় শুরুর কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পর শেষ পৃষ্ঠায় চলে যেত। তারা ঠিকই জেনে যেত শেষে কী ঘটেছে, কিন্তু কীভাবে ঘটেছে তা নিয়ে তাদের কোনো ধারণা থাকত না!
‘দ্য গ্রিন মাইল’-এ কারা কর্মকর্তা পল এসকম্বের চরিত্রে প্রথমে জন ট্রাভোল্টাকে প্রস্তাব দেয়া হয়। তিনি না করার পর চরিত্রটি লুফে নেন টম হ্যাঙ্কস। অবশ্য হ্যাঙ্কসের আগে মাইকেল কিটন ও মাইকেল ডগলাসকে ভাবা হয়েছিল। একইভাবে ওয়াইল্ড বিল চরিত্রে জশ ব্রলিনকে পছন্দ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চরিত্রটি করেন স্যাম রকওয়েল।
সিনেমাটিতে টম হ্যাঙ্কসের আগ্রহের আরেকটি কারণ ছিল। কারণ শুরুতে ‘শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ সিনেমায় এ অভিনেতাকে প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আরেক ক্ল্যাসিক ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর জন্য প্রস্তাবটি ছাড়তে হয়। এবার ‘দ্য গ্রিন মাইল’-এ ‘হ্যাঁ’ বলতে আর দেরি করলেন না হ্যাঙ্কস।
‘দ্য গ্রিন মাইল’ সিনেমায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্রটির নাম জন কফি। পর্দায় চরিত্রটি সফলভাবে রূপায়ন করেন মাইকেল ক্লার্ক ডানকান। তার বিষয়ে পরিচালককে খোঁজ দিয়েছিলেন আরেক অভিনেতা ব্রস উইলিস।
আরেকটি মজার বিষয় হলো, স্টিফেন কিংয়ের মূল পাণ্ডুলিপি ছিল ৬২০ পৃষ্ঠার। প্রায় আট সপ্তাহ সময় ব্যয় করে গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপান্তর করেন ফ্র্যাঙ্ক ডারাবন্ট। ওই সময় এ নির্মাতার বিড়ালের শরীরে একটা টিউমার দেখা দেয়, কিন্তু ডারাবন্ট সিদ্ধান্ত নেন টিউমার কাটাকাটির মধ্য দিয়ে যাবেন না। এতে বিড়ালটি অনেক কষ্ট পাবে। চিত্রনাট্যে শেষ দৃশ্যে জন কফি মারা যায়। একই সময়ে মারা যায় ডারাবন্টের বিড়ালটিও।